বিগত প্রায় একমাস হয়ে গেল দেশের অন্যতম বিমান সংস্থা বন্ধ হয়ে আছে। ব্যবসায় ভরাডুবির ফলেই ধাক্কা খেয়েছে জেট এয়ারওয়েজ। সেই ব্যাপারে তদন্তে নেমে ইডি জানায়, বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় অসঙ্গতির কথা। সেই সংক্রান্ত মামলায় ইডির নজর জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার নরেশ গয়াল। শুক্রবার দিল্লী ও মুম্বইয়ে তাঁর একাধিক বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালালেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্ত শেষ না হওয়া অবধি দেশ মোটেও দেশ ছাড়তে পারবেন না নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রী অনিতা, এমন নির্দেশই জারি করেছে ইডি।
প্রসঙ্গত, এই বছরের মার্চে জেট এয়ারওয়েজের ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন নরেশ গয়াল। প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ১৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় ওই সংস্থার সব উড়ান। রাতারাতি কাজ হারান সংস্থার প্রায় ২০ হাজার কর্মী। বছরের এপ্রিলেই নিজেদের সমস্ত উড়ান বন্ধ করে দেয় জেট এয়ারওয়েজ।
২০১৪ সালে জেট প্রিভিলেজ লিমিটেড-এর শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিমান সংস্থা এতিহাদ এয়ারওয়েজ। পরবর্তীকালে অভিযোগ ওঠে, ওই চুক্তিতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম মানা হয়নি। সেই অভিযোগেরই তদন্ত শুরু করেছে ইডি। সেই সূত্রেই এই তল্লাশি অভিযান বলে ইডি সূত্রে খবর।
ইডি জানিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড়সড় অসঙ্গতি রয়েছে জেটের। তাঁদের দাবি, বিদেশি মুদ্রা আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জেটের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্যই নরেশ গয়ালের দিল্লি ও মুম্বইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। নরেশের বিদেশ যাত্রার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইডি। গত মে মাসে মুম্বই বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস একে-৫০৭ উড়ানে চেপে বসেছিলেন নরেশ-অনিতা। গন্তব্য ছিল দুবাই। বিমান রানওয়ে দিয়ে গড়াতেই হাজির হন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। জরুরি নোটিস পাঠিয়ে বিমান ফিরিয়ে আনা হয় টার্মিনালে। জেটের প্রতিষ্ঠাতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, যতদিন না তদন্ত শেষ হচ্ছে, দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না কেউই।