নেই কোনও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য। নেই জোরদার প্রমাণও। হয়নি সরকারি ঘোষণাও। কিন্তু তা সত্ত্বেও চলতি মাসের ১৮ তারিখ ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট দিনটিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ‘প্রয়াণ দিবস’ হিসেবে একপ্রকার ‘ঘোষণা’ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো! সেদিন পিআইবির টুইটার হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে তাঁর প্রয়াণ বার্ষিকীতে স্মরণ করছে পিআইবি।’ যা নিয়ে তৈরি হয়েছিল তীব্র বিতর্ক। শেষে নেতাজির পরিবারের একাংশের প্রতিবাদের পরে সেই টুইটটি প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। এরই মধ্যে এবার জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রাখা অস্থিভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানালেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কন্যা অনিতা বসু পাফ।
বৃহস্পতিবার নেতাজি কন্যা বলেন, সুভাষচন্দ্রের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, তিনি বিশ্বাস করেন, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইপেই বিমান দুর্ঘটনাতেই নেতাজি মারা গিয়েছেন। নেতাজির এই মৃত্যু-রহস্যে দাঁড়ি টানতেই তিনি মোদী সরকারের কাছে চিতাভস্মের ডিএনএ টেস্ট করানোর কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশও করেছেন অনিতা। বলেন, ‘আমি এই মৃত্যু রহস্যের সমাধান করতে চাই। আমি মনে করি, রহস্য সমাধানের সেরা উপায় হল রেনকোজি মন্দিরে রাখা চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করানো। তাতেই প্রমাণ হবে সেই চিতাভস্ম আমারই বাবার কি না।’