লোকসভা ভোটের সময় থেকেই গেরুয়া সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বাংলা। এখনও বিভিন্ন রকম অশান্তিমূলক কার্যকলাপ বাংলার মাটিতে অব্যাহত রেখেছে গেরুয়া আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এবার তৃণমূল কর্মীর চাষের জমিতে বিজেপি–র পতাকা পুঁতে দেওয়াকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল খানাকুলের নতিবপুর ২ নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের বলপাই এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তবে বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যেতেই বিজেপি কর্মীরা চাপে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেই পতাকা তারাই তুলে নিয়ে চলে যায়।
নতিবপুর ২ নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল উপপ্রধান নুর আলম বলেন, ‘বলপাই মৌজায় বিঘে দুই জমি আছে। ওই জমির মালিক আমার শ্বশুরবাড়ির সদস্য। শ্বশুর মারা যাওয়ায় তাঁর ছেলে শেখ ইকবাল হোসেন–সহ অন্য ছেলেমেয়েরা এখন ওই জমির শরিক। ওই জমিতে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই চাষ করে আসছিলেন। তঁাদের নামেই জমির দলিল, পর্চা— সব আছে। মাঝে কিছুদিন আতাউল হক নামে এক গরিব ব্যক্তিকে চাষ করতে দেওয়া হয়েছিল।’
উপপ্রধান নুর আলম আরও বলেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ওই জমিতে ধান রোপণ করলে আতাউল হক বাধা দেন। এই ঘটনায় বাধ্য হয়ে আমার শ্যালক ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আরামবাগ মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।’ জানা গেছে, আদালত ওই জায়গায় আপাতত ১৪৪ ধারা জারি করেছে। পাশাপাশি বিএলআরও এবং পুলিশকে বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরেও বৃহস্পতিবার সকালে আতাউল হক ওই জমিতে বিজেপি–র পতাকা পুঁতে দেন। উপপ্রধান বিষয়টি খানাকুল থানায় জানান। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। চাপে পড়ে বিজেপি নেতারা আতাউলের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন। কাজের সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন বলে জানিয়ে দেন। এর পরই পুলিশ আসার খবর পেয়ে আতাউল হকের লোকেরা জমি থেকে বিজেপি–র পতাকা তুলে নিয়ে চলে যায়।