গতকালই জানা গিয়েছিল জাগুয়ারকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আর্সেলান মালিকের বড় ছেলে রাঘিব পারভেজ। আর তাই এদিন শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন পরিবারের ছোট ছেলে আরসালান পারভেজ। জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁর মামা মহম্মদ হামজাকেও। তবে আরসালানকে পুলিসের কাছে জমা রাখতে হবে তাঁর পাসপোর্ট। আইও-র কাছে সপ্তাহে একবার করে হাজিরাও দিতে হবে তাঁকে।
অন্যদিকে, পারভেজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করতে চলেছে পুলিশ। তদন্তে অসহযোগিতা করা, পুলিশকে ভুল পথে চালিত করা, মূল অভিযুক্তকে আশ্রয় দিয়ে তাঁকে আড়াল করা ও পালাতে সাহায্য করা, এমনকি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগও তাঁদের বিরুদ্ধে আনতে চলেছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত রাঘিব পারভেজকে জাগুয়ারকাণ্ডে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামা মোহম্মদ হামজাকেও গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে অন্য সদস্যদের নামও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারিরা। প্রসঙ্গত, গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ২০ ইঞ্চির ভাঙা কাঁচই কিনারা করল সেক্সপিয়ার সরনি থানার জাগুয়ার কাণ্ডের এই রহস্য।
গাড়ির ইডিআর বা ইভেন্ট ডেটা রেকর্ডার ও ইনফোটেইনমেন্ট টেলিমেটিক্স-এর মাধ্যমে যে ফোন রেকর্ড পান তদন্তকারীরা সেখান থেকে আরসালানের দাদা রাঘিব পারভেজের কথা প্রথম জানা যায়। এছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু চালক সিট বেল্ট বাঁধেননি, তাই দুর্ঘটনার অভিঘাতে চালকের মাথা সজোরে ধাক্কা খায় উইন্ডস্ক্রিনের ভেতরের দিকের অংশে। সেখানে কিছুটা রক্তের দাগও মিলেছে পুলিশি তদন্তে।
আর সেখান থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, চালকের কপালে বা মাথার সামনের অংশে সিলিকন বাইট বা আঘাত থাকবে। অথচ আরসালানের তেমন কোনও জখম দেখতে পাননি তদন্তকারীরা। রাঘিবের ক্ষেত্রে সেই সিলিকন বাইট-এর জখম পেয়েছেন। অন্যদিকে, আরসালান পারভেজ মত্ত বা নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা, বার বার পরীক্ষা করেও তার সদুত্তর পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। আর সেইসময়েই গতকাল জাগুয়ার দুর্ঘটনার নয়া মোড় সামনে আসে। জানা যায়, আরসালান নয়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর দাদা রাঘিব। আর তারপরেই বেনিয়াপুকুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।