একদিকে কর্ণাটক মন্ত্রীসভায় যখন ফের ঠাঁই হল ২০১২ সালে বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন মোবাইলে পর্ন দেখে মন্ত্রীত্ব খোয়ানো ২ ‘গুণধর’ বিজেপি নেতা লক্ষ্মণ সাভরি এবং সিসি পাটিলের। তখন যোগীরাজ্যে ঘটল আরও এক তাজ্জব করা ঘটনা। এবার উত্তরপ্রদেশে মন্ত্রীসভা সম্প্রসারণে পদোন্নতি হল দাঙ্গায় অভিযুক্ত বিধায়ক সুরেশ রানার। থানা ভবন কেন্দ্রের দু’বারের বিধায়ক আগে রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এবার তাঁকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মোট ২৩ জনকে কাল মন্ত্রী করা হয়। যার মধ্যে রানা-সহ ৬ জন হয়েছেন পূর্ণমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ২০১৩-র মুজফফরনগর দাঙ্গায় অভিযুক্ত ৪৯ বছরের রানা। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। দাঙ্গা চলাকালীন প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তারপরেও তাঁকে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা কেন? উঠছে এমনই প্রশ্ন। যদিও মুজফফরনগর দাঙ্গায় অভিযুক্ত ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিচ্ছে যোগী সরকার। অভিযুক্তদের ৪১ জন ইতিমধ্যে বিভিন্ন দায়রা আদালতে খুন, ধর্ষণ, লুঠের অভিযোগ থেকে খালাস হয়েছেন।
যেমন খালাস হয়েছেন মুজফফরনগরের সাংসদ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন এবং গঙ্গা পরিশোধন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়াঁ। ২০১৩-য় তিনি ছিলেন বিজেপির বিধায়ক। উসকানিমূলক বক্তৃতা, ঘটনাস্থলে হানা দেওয়ায় তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত ছিলেন আরেক বিজেপি বিধায়ক সঙ্গীত সোম। অভিযুক্তদের খালাস প্রসঙ্গে বুধনার বিজেপি বিধায়ক উমেশ মালিকের সাফাই ছিল, ‘শতকরা ৯৩ শতাংশ মামলাই ভুয়ো। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগকারীরা নিজেদের খাটে আগুন লাগিয়ে, মসজিদের সামনে আবর্জনা স্তূপ করে হিন্দুদের ওপর দোষ চাপিয়েছে।’