দেশের অর্থনৈতিক মন্দা আরও গভীর হচ্ছে বলে এবার মন্তব্য করলেন গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাঁর কথায়, ‘২০১৯ সালের জুন মাসের পরে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের এমন সব লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে তাতে অর্থনীতি আরও ধীর হবে’।
মুদ্রানীতি নীতি কমিটির বৈঠকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশে গার্হস্থ্য বৃদ্ধির হার হ্রাস এবং অনিশ্চয়তার কারণে দেশীয় চাহিদা বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার প্রয়োজন রয়েছে’। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ‘গত তিনবারের জন্য আরবিআইয়ের রেপো হারে কাটার প্রভাব ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হবে’। দেশের বর্তমান গভর্নরের কথায়, ‘মে মাসে শিল্প কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষত উৎপাদন ও খনির ক্ষেত্রে এটি স্পষ্টভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে’। আরবিআই গভর্নরের মতে, ‘অর্থনৈতিক সঙ্কট এড়াতে বৃহৎ আকারে সংস্কার করা দরকার’।
গাড়ি শিল্প বসে গেছে। কর্মী ছাঁটাই চলছে। ভোগ্য পণ্যের বিক্রিতেও ভাঁটা। আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে পার্লে জি বিস্কুটের কারখানাতেও। প্রায় ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে তারা। অবস্থা দেখে দেশের অর্থনীতিতে ধস নামার সম্ভাবনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন দেশের বর্তমান গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।