বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই একদিকে যেমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে, তেমনি এই অবস্থায় কার্যত তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও।
জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ৫.৮ শতাংশে। তবে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে তা আরও কমে ৫.৭ শতাংশে নামতে পারে। এই অনুমান জাপানি ব্রোকারেজ সংস্থা নোমুরার। বুধবার এক রিপোর্টে সংস্থাটি জানিয়েছে, বাজারে ক্রেতা চাহিদা ও শিল্প বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং আর্থিক ক্ষেত্রে সঙ্কটের কারণেই বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী থাকবে। এই মুহূর্তে দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা সঙ্গীন বলেই মনে করে নোমুরা। আশার আলো কেবল, সামান্য কয়েকটি ক্ষেত্রে উন্নতির লক্ষণ। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও। তাঁর কথায়, সরকার খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। অর্থনীতিতে এমন মন্দা খুবই উদ্বেগজনক।