গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টির জেরে বেড়ে গিয়েছিল যমুনার জলস্তর। তার ওপরে ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে কয়েক দিন ধরেই ফুঁসছিল যমুনা। আগেই হরিয়ানার হাতানি কুঁদ ব্যারেজ থেকে আট লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এরপর সোমবার সন্ধেয় আরও ১.৪৩ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরেই বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে যমুনার জল। মঙ্গলবারও বেশ খানিকটা বাড়ে নদীর জল। বন্যা ও কৃষি বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলের মধ্যে সর্বোচ্চ জলস্তর বেড়ে দাঁড়াবে ২০৭.০৮ মিটার।
এর আগে ২০১৩ সালের বন্যায় যমুনার জলস্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২০৬.১৭ মিটার। ২০১৮ সালে তা ছুঁয়েছিল ২০৬.০৫ মিটার। আধিকারিকরা জানিয়েছেন বুধবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে ২০৭.০৮ মিটার ছোঁবে যমুনার জলস্তর। তাই কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আগাম বিপদ আঁচ পেয়েই মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে যমুনার তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে দিল্লী সরকার। রাজ্যের মোট ৬টি জেলার ৪৮টি জায়গায় ২৩৫০টি শরর্ণার্থী শিবির তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার মানুষকে এখানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অবস্থার ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। নিরাপত্তার খাতিরে সব প্রস্তুতিই নেওয়া হয়েছে। তবে উত্তর রেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০৬.৪ মিটারের উপর জলস্তর উঠলে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে যমুনার উপর দিয়ে যাওয়া ব্রিজে ট্রেন চলাচল। উল্লেখ্য, ভয়াবহ বন্যায় উত্তর ভারতে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ছুঁয়েছে ৫৫। হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাব এখনও পর্যন্ত বন্যা কবলিত। আর দিল্লীর সেচ দফতরের দাবি, এবার দিল্লী শহরেও তৈরি হতে পারে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিত।