গোটা দেশেই দলিত শ্রেণীর ওপরে আক্রমণ বা হামলার ঘটনা ঘটলেও এ রাজ্যে তার কোনও নিদর্শন নেই বললেই চলে। এবার এমনই মন্তব্য করে বাংলা তুলনামূলক ভাবে শান্ত বলেই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রামদাস আটাওয়ালে। পাশাপাশি দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মঙ্গলবার কলকাতায় এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অন্যান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও ভিন্ন জাতের বিয়ে হচ্ছে। কিন্তু এ রাজ্যে সেই নববিবাহিত দম্পতিদের ওপর আক্রমণের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। দলিত শ্রেণীর লোকজন এখানে আক্রান্ত হয়েছে বলে তেমন খবর নেই। এক্ষেত্রে প্রশংসা পেতেই পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি সরকারের শরিক দল রিপাবলিকান পার্টি অব ইন্ডিয়ার এই রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, অন্য রাজ্যে দলিত শ্রেণীর ওপরে যে আক্রমণ বা হামলা হচ্ছে, তা এ রাজ্যে নেই। অন্তত আমার মন্ত্রকের রিপোর্টে সেরকম কোনও তথ্যই নেই। জাতপাতের লড়াই এ রাজ্যে যেটুকু হয়েছে, তা অন্য রাজ্যের তুলনায় প্রায় নগন্য।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, এরাজ্যে ২০১৪-১৫ সালে ৯৯৩টি, ২০১৫-১৬ সালে ৮২৫টি, ২০১৬-১৭ সালে ১৪৫৭টি, ২০১৭-১৮ সালে ৭৫৬টি, ২০১৮-১৯ সালে ৫৩৭টি এবং ২০১৯-২০ সালে ৩৮৫টি ভিন্ন জাতের মধ্যে বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সেগুলির একটিতেও কোনও সমস্যা হয়েছে বলে আমি অন্তত শুনিনি।
অন্যদিকে, সোমবার দিল্লীতে সঙ্ঘ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেছিলেন, বিজেপি, ভারত সরকার ও সঙ্ঘ আলাদা। ভাগবতের মতের সঙ্গে তারা একমত না-ও হতে পারেন। তাদের পাপ ও পুণ্যের দায়িত্ব তাদেরই। সঙ্ঘ বাঁচাতে আসবে না। এরপরই সংরক্ষণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, একবার এ প্রসঙ্গে বলেছিলাম, হইচই হয়েছে। কী এসে গিয়েছে তাতে?
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় মোহন ভাগবত নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। এর পাশাপাশি দেশের কিছু অংশে গোরু পাচারকারী সন্দেহে গণপিটুনিতে মারধর বা অন্য কোনও কারণে গণধোলাই দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। স্বীকারও করেন, কেন্দ্রের এ ব্যাপারে আরও কড়া আইন আনা উচিত।