দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি রূপায়ণে জঙ্গীপুরের কানুপুরে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাত কাটালেন জাকির। প্রতি শনি ও রবিবার জঙ্গীপুরে নিয়মিত জনতার দরবার বসান তিনি। জনগণের অভাব–অভিযোগ শোনেন। যতটা পারেন সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। এতদিন তাই করে এসেছেন। বাড়িতে মন্ত্রী জাকির হুসেনকে পেয়ে দারুণ আপ্লুত রামকৃষ্ণ মাজি। তিনি বলেন, “সন্ধেবেলায় বাড়িতে বসে ছিলাম। হঠাৎ শুনতে পাই কে যেন নাম ধরে ডাকছে! বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী জাকির হুসেন। সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। জাকির হুসেন তো শুধু মন্ত্রী নন, বিশিষ্ট শিল্পপতিও। দেখে কী করব ভেবে পাচ্ছিলাম না। তিনি নিজেই বললেন, ‘রামকৃষ্ণ, চলো বাড়ির ভেতরে গিয়ে বসি।’ বাড়িতে ঢুকেই খাটের ওপর বসে বললেন, ‘এক গ্লাস জল খাব।’ জল খেয়ে এলাকার পরিস্থিতি জানতে চান। আশেপাশের বাড়ির লোকজনের কাছে থেকে নানা অভাব ও অভিযোগের কথা শোনেন। রাস্তার সমস্যা নিয়ে একজন অভিযোগ জানান। তখন মন্ত্রী ‘দিদিকে বলো’ টোল ফ্রি নম্বর দিয়ে বলেন, এই নম্বরে অভিযোগ করুন”।
এবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে রামকৃষ্ণ মাঝি, মোশারফ হোসেন, আনোয়ারা বিবি, মহম্মদ রুকুবুদ্দিনের মতো সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুঁ মারলেন। তাঁদের অভাব–অভিযোগ শুনলেন। গ্রামের উন্নয়নে আর কী কী পরিকল্পনা গ্রহণ করা যায়, তাও জানতে চাইলেন। বাংলার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী কীভাবে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা তিনি গল্পের মতো করে তুলে ধরেন। জাকির বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ১০০ দিনে এক হাজার তৃণমূল কর্মী নিয়ে দশ হাজার গ্রামে যেতে হবে। সেখানকার মানুষের অভাব– অভিযোগের কথা শুনতে হবে। দিদিকে সরাসরি অভাব–অভিযোগ জানাতে টোল ফ্রি নম্বর দিতে হবে। এই কর্মসূচিতে কোনও খামতি চলবে না”।