মানুষ যাতে নিজেদের মনের কথা নির্দ্বিধায় জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাই শুরু হয়েছে নতুন কর্মসূচী ‘দিদিকে বলো’৷ শুরুর থেকেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে এই কর্মসূচী৷ এক ফোনেই হচ্ছে সমস্যার সমাধান৷ এবার ‘দিদিকে বলো’ ফোন নম্বরে ফোন করতেই নিজের দরকারী ওবিসি সার্টিফিকেট পেলেন এক যুবক৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপ হালদার। স্বরূপ বলেছেন, ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ওবিসি সার্টিফিকেট আমার প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেছি। সার্টিফিকেট জোগাড় করতে পারিনি। এর পর আমি ‘দিদিকে বলো’ নম্বরে ফোন করি। সার্টিফিকেটও পেয়ে যাই। দিদিকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বরূপ বলেছেন, ‘কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর পরবর্তীকালে আমি আরও পড়াশোনা করতে পারব।’
মমতা বার বারই বলেছেনতফসিলি জাতি উপজাতি ও সমাজে পিছিয়ে পড়া লোকেরা সার্টিফিকেট পেতে যেন কোনও অসুবিধায় না পড়েন। দেখা গেছে সার্টিফিকেট জোগাড় করতে গিয়ে কিছু অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। মমতার নির্দেশ সঠিক কাগজপত্র থাকলে ঠিক সময় তাঁদের সার্টিফিকেট দিয়ে দিতে হবে। আদিবাসীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভাতে বৈঠকও করেছিলেন। সেই বৈঠকে তিনি সার্টিফিকেট প্রসঙ্গ তোলেন। কয়েকজন বিধায়ক হয়রানির অভিযোগ তোলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বলেন, ‘আপনারা ধৈর্য ধরুন। আমার ওপর আস্থা রাখুন। মমতার ওপরে আস্থা রেখেই উপকৃত হলেন স্বরুপ৷
শুধু স্বরুপ নয়৷ বিভিন্ন জায়গার মানুষের সমাধান করছে ‘দিদিকে বলো’৷ উত্তর ২৪ পরগনার ডালিম জানা একজন দিনমজুর ছিলেন। মাছ চাষের জন্য ‘দিদিকে বলো’ ফোন করেন। মাছ চাষের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা দিয়ে দিদির সরকার সাহায্য করার ফলে ডালিম খুবই উপকৃত হয়েছেন। তিনি দিদিকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
ডালিম বলেছেন, ‘জনমজুর ছিলাম। এলাকায় পুকুর কেটে মাছ চাষ করছি। আমার সঙ্গে কয়েকজন রয়েছে। তাঁরাও এই চাষ শুরু করেছেন। এখন মাছ চাষ করে সংসার চলছে। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারছে।’ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাপ্পা দাস মাছ বিক্রি করেন। তিনিও ফোন করে সরকারের কাছ থেকে ইনস্যুলেটেড বাক্স ও মৎস্য যান পেয়েছেন। এর ফলে ওঁর অনেক আয় বেড়েছে। বাপ্পা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার কোনও সমস্যা আর নেই।’