সন্দেহের বশে মারের ঘটনা ঘটছে আকছার। কখনও কাঠগড়ায় সাধারণ মানুষ, আবার কখনও পুলিশ। এইবার সেই অভিযোগ উঠল এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। পাচারকারী সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। মৃতের নাম মহম্মদ জিয়ারুল ইসলাম (২৯)। বাড়ি মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বয়রা এলাকায়।
শুক্রবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের বড়শিমূলের বাহুরা সীমান্তে পিটিয়ে খুন করা হয় ওই যুবককে। এ প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওইদিন রাতে বাড়ি থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বড়শিমূল গ্রামপঞ্চায়েতের বাহুরা ঘাটের পাশে অচৈতন্য অবস্থায় ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই জিয়ারুলকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, জিয়ারুলের মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
জিয়ারুলের পরিবারের অভিযোগ, ৭৮ নম্বর বিএসএফের ব্যাটালিয়ন জিয়ারুলকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। অভিযোগ, ওই যুবকের উপর অকথ্য অত্যাচার চালায় বিএসএফ জওয়ানরা। বাহুরা ঘাটের ধারে জওয়ানরা জিয়ারুলকে মৃত মনে করে ফেলে পালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় গরু পাচার নিয়ে অশান্তি বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি সামলাতে বিএসএফও নজরদারি বাড়িয়েছে।
তবে মৃতের দাদা মহম্মদ শেখ জানান, “আমার ভাই গরু পাচারের সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নয়। কী কারণে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাহুরা ঘাটে গেল বুঝতে পারছি না।” এদিনের ঘটনার জেরে রঘুনাথগঞ্জে শোরগোল ছড়িয়ে পড়ে।