রাজ্যে ১০০টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খুলতে চলেছে সরকার। বেহালার শরৎ সদনের এক অনুষ্ঠানে এখবর জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১০০টি স্কুলকে চিহ্ণিত করা হয়েছে যেখানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলা হবে। তবে ইংরেজির সঙ্গে বাংলা মাধ্যমও থাকবে। প্রথম ধাপে ১০০টি স্কুলে খোলা হলেও ধাপে ধাপে এই সংখ্যাটা বাড়ানো হবে। এই স্কুলগুলিতে পড়ানোর জন্য শিক্ষক কীভাবে নিয়োগ করা হবে তা ঠিক করা হচ্ছে।’
স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইংরেজি মাধ্যম শুরু করার জন্য পরিকাঠামো এবং জায়গা রয়েছে এমন স্কুলই বাছা হয়েছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তই চালু করা হবে। বাংলা মাধ্যমের সঙ্গে এই স্কুলগুলিতে ইংরেজি মাধ্যমের একটি করে ‘ইউনিট’ চালু হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০১৯ সাল থেকেই পঠনপাঠন শুরুর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপাতত কলকাতার ১০০টি স্কুলকেই নিয়ে শুরু হচ্ছে। পরে জেলার বাছাই করা স্কুলগুলিতেও চালু করা হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে বলে আপাতত এই স্কুলগুলিতে চুক্তির ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলেও প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ইংরেজি মাধ্যম স্কুল হতে চলেছে সৌরিন্দ্র বিদ্যাপীঠ। প্রথম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত। ২০১৯ সাল থেকে শুরু হবে পাঠনপাঠন। টাকি বয়েস স্কুলের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসেও আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইংরেজি মাধ্যম শুরু হচ্ছে। একাংশ অভিভাবকদের মধ্যে ছেলেমেয়েদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ানোর একটা ঝোঁক তৈরি হয়েছে। দিনদিন এই প্রবণতা বাড়ছে। যে কারণে রাজ্যে আইসিএসই, সিবিএসই বোর্ডের স্কুলগুলির রমরমাও বেড়েছে। পড়ুয়ার অভাবে রাজ্যের স্কুলগুলি যেখানে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেখানে এই স্কুলগুলিতে ভিড় বাড়ছে। এই প্রবণতা লক্ষ্য করেই ইংরেজি মাধ্যম স্কুল খোলার কথা ভাবা হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর। কিছু স্কুলে নিজেদের উদ্যোগে একাদশ–দ্বাদশে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা হয়। ৩৯টি সরকারি স্কুলেই একাদশ–দ্বাদশে ইংরেজি মাধ্যম রয়েছে। সরকারি স্কুলগুলিতে বিজ্ঞানের বিষয়ে ৪টি করে শিক্ষক পদের অনুমোদন দেওয়া হলেও নিয়োগ হয়নি। সব মিলিয়ে ১৫২টি অনুমোদিত পদে মাত্র ৩০–৩২ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। বছর পাঁচেক আগে প্রাক প্রাথমিক এবং প্রাথমিকে ইংরেজি মাধ্যম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও শিক্ষকের অভাবে এখনও শুরু করা যায়নি।