বাংলার মানুষের পাশে সবসময়েই থাকে তৃণমূল। যে কোনও সমস্যায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পাশে পান সাধারণ মানুষ। বিরোধী দলের কোনও নেতা অসুস্থ হলে ছুটে যান তৃণমূলের নেতারাই। যেখানে নিজেদের দলের বিধায়ককে দেখতে যান না কমরেডরা সেখানে ‘দিদিকে বলো’র প্রচারে গিয়ে বাম কর্মীর বাড়িতে রাত কাটালেন তৃণমূল বিধায়ক।
সোমবার সন্ধেয় বিধায়ক মানস মজুমদার গোঘাটের দক্ষিণপাড়ায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীর মাধ্যমে জনসংযোগ তৈরি করতে গিয়েছিলেন। তখনই ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মী রাধাকৃষ্ণ কর্মকারের বাড়িতে যান। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল ব্লক সভাপতি নারায়ণ পাঁজা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পাল প্রমুখ। প্রচারে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মানস, শুধু তাই নয় তাঁর বাড়িতে রাত্রিযাপনও করেন।
রাধাকৃষ্ণবাবুর বউমা বনশ্রী কর্মকার বলেন, ‘এদিন সন্ধের সময় বিধায়ক আসেন। প্রথমে চা বিস্কুট খান। তার পর রাতে ডাল, পোস্ত, ডিম ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন ভাজা, আলু ভাতে দিয়ে ভাত খান। রাতে আমাদের বাড়িতেই ছিলেন। খুব ভাল লাগছিল। বেশ ভাল ব্যবহার। যেন ঘরের ছেলের মতো। তিনি আসায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।’
বর্তমানে রাধাকৃষ্ণবাবুর বয়স ৯৩ বছর। কিন্তু এখনও বেশ শক্ত–সমর্থ। স্মৃতিশক্তিও প্রখর। তিনি জানালেন, ১৯৪৫ সাল থেকে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে যুক্ত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আদর্শ পাথেয় করে তিনি এখন সময় কাটান। তিনি বলেন, ‘এদিন বিধায়ক মানস মজুমদার আমাদের বাড়িতে আসেন। আমাদের বাড়িতেই খাওয়া–দাওয়া করেন। কথাবার্তা হয়েছে। আমি খাসজমির পাট্টা নিয়ে বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। বিধায়ক তাঁকে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানোর কথা বলেছেন। এ ছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত দিনের বেলায়ও তিনি বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সমস্যার কথা শুনছেন। বিধায়কের বক্তব্য, ‘আমরা চাই মানুষ যেন মন খুলে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আমাদের সঙ্গে সরাসরি বলতে না পারলে মোবাইল নম্বরে ফোন করে দিদিকে যেন জানান। আমাদের কোনও ভুল হয়ে থাকলে আমরা তা সংশোধন করে নেব। আমাদের একটাই লক্ষ্য, মানুষ যেন সুখে–শান্তিতে থাকতে পারেন, ভাল পরিষেবা পান।’