৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার পর থেকেই উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। ইতিউতি বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলছিল তবে কার্ফু উঠতেই সেই অশান্তি বৃহদাকার ধারণ করল। কার্ফু রদ হতেই চলল টিয়ার গ্যাস। যার জেরে আহত ১২।
বিগত পাঁচদিন ধরে উপত্যকায় জারি রয়েছে কার্ফু। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, প্রায় ১০ হাজার মানুষের জমায়েত ঘটে উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগরে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীরা সুর তুলছে দিল্লির বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, জম্মু কাশ্মীরকে স্পেশাল স্ট্যাটাস থেকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্র সরকার।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে কার্ফু জারি হওয়ার পর থেকেই এই প্রথম এত জনসমাগম দেখা যায় উপত্যকার রাস্তায়। রয়টার্সের দাবি অন্তত এমনটাই। শুক্রবার উপত্যকা থেকে তুলে নেওয়া হয় কার্ফু। আর তারপরই সামনে আসে এই ছবি। পুলিশ আধিকারিকের কথায়, বিগত পাঁচদিনে এতো বহুল জনসমাবেশ দেখা যায়নি। বিক্ষোভকারীদের একাংশকে দেখা যায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁরা শ্লোগান তুলতে থাকে।
কার্ফু জারি থাকায় রাস্তায় চারজনের বেশি লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ। কিন্তু সেই আইন অমান্য করে কাশ্মীরের স্পেশাল স্ট্যাটাস তুলে নেওয়ার ইস্যুতে একজোট বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা। বিক্ষোভের আকার বড়ো থাকায় তাদের শান্ত করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে চালান হয় টিয়ার গ্যাস। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কথায় পুলিশ আইওয়া ব্রীজের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সেখানেই তাদের উপর চালান হয় টিয়ার গ্যাস ও পেলেটগান। তার আঘাতে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন সাধারণ নাগরিক।
যাদের ভর্তি করা হয়েছে শের-ই-কাশ্মীর নামের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায় পুলিশ আমাদের উপর দু’দিক থেকেই আক্রমণ চালায়। এবং পুলিশের চালান পেলেটে গানের গুলিতে জখম হতে হয় অনেক বিক্ষোভকারীদের। তাঁদের কথায় কয়েকজন শিশু ও মহিলা সেতুর উপর থেকে জলে ঝাঁপ মেরে প্রাণ বাঁচানো চেষ্টা করেন। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, সৌরায় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত ১২ জনকে এই মুহুর্তে ভর্তি করা হয়েছে রাজ্যের দুটি হাসপাতালে। যদিও চলতি সপ্তাহে কাশ্মীরে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০জন।