প্রিমিয়ার লিগে স্বপ্নের শুরু ‘দ্য রেডস’-এর৷ লিভারপুলের কাছে পাত্তাই পেল না ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে উঠে আসা নরিচ সিটি। ৪-১ গোলে নরিচকে হারিয়ে লিগ শুরু করল য়ুর্গেন ক্লপের দল। মাত্র এক পয়েন্টের জন্য গত মরসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল। তাই এ বার মহম্মদ সালাহ, রবের্তো ফির্মিনোরা সেই খেদ মেটাতে চান ইপিএল জিতেই।
খেলার শুরুতে গ্র্যান্ট হ্যানলের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ১৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল মহম্মদ সালাহর। ২৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান ভার্জিল ফান ডিক। ৪২ মিনিটে ৪-০ করেন ডিভোক ওরিগি। দ্বিতীয়ার্ধে নরউইচের হয়ে ব্যবধান কমান তিমু পুক্কি।
আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে ১৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে লিভারপুল। ডি-বক্সের ভেতর জটলা থেকে রবের্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বলে তেকাঠিতে রাখতে ভুল করেননি গত মরশুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা মহম্মদ সালাহ। গোলের ধারা অব্যাহত থাকে ক্লপের ছেলেদের৷ নবাগত নরিচ আরও পিছিয়ে পড়ে ভার্জিল ভন ডাইকের হেডে। ২৮ মিনিটে সালাহের কর্নার থেকে বল সরাসরি গিয়েছিল ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ডাচ ডিফেন্ডারের মাথায়। গোল করতে ভুল করেননি ডাইক৷
অ্যানফিল্ডে তখন শুরু হয়ে গিয়েছে লাল বিপ্লব৷ তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ব্রাজিলিয়ন ফরোয়ার্ড ফিরমিনোর জোরাল ভলি ঠেকিয়ে নিশ্চিত গোল বাঁচান ডাচ গোলরক্ষক টিম ক্রুল। তবে গোলের জন্য মরিয়া লিভারপুল বিরতির আগেই ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয়। ডিফেন্ডার ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার-আর্নল্ডের নিখুঁতভাবে বাড়ানো বল হেডে জালে পাঠান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড অরিগি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারত দ্য রেডস৷ জর্ডান হেন্ডারসনের জোরাল শট আটকে দেন নরিচ গোলরক্ষক৷ এরপর অবশ্য ব্যবধান কমানোর সুযোগ আসে নরিচের সামনে৷ ৬৩ মিনিটে লাইটনারের জোরাল শট ক্রসবারে লাগে। যদিও পরক্ষণেই অফ-সাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ব্যবধান কমান নরিচ স্ট্রাইকার তেমু পুক্কি। শেষ পর্যন্ত ৪-১ শেষ হয় ম্যাচ৷ সেই সঙ্গে অ্যানফিল্ডে টানা ৪১ লিগ ম্যাচে অপরাজিত থাকল লিভারপুল।