কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। মাত্র এক বিদেশিকে নিয়ে তৈরি দল সেইভাবে আজ খেলতেই পারল না জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে। আজ প্রথম থেকেই নিজেদের দাপট দেখিয়েছে জর্জ আর যার ফলাফল ১-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলের হার।
আজ খেলার শুরু থেকেই নিজেদের ডিফেন্স মজবুত রেখেছিল জর্জ। যার ফলে বিদ্যাসাগর সিং, পিন্টু মাহাতা, রোনাল্ডোরা মিলেও জর্জের ডিফেন্স ভাঙতে পারল না ইস্টবেঙ্গল। উল্টে অতিরিক্ত সময়ে জাস্টিস মর্গ্যানের বাঁ পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে যেতেই চুপ হয়ে গেল গ্যালারি।
এ দিন খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। আজ কোলাডোর জায়গায় মাঠে নামেন সালগাওকার থেকে আসা রোলাল্ডো অলিভিয়েরা। কিন্তু লাল-হলুদের প্রাথমিক আক্রমণ সামলে মাঝে মাঝে আক্রমণে ওঠেন জর্জের ফুটবলাররাও। প্রথমার্ধের বেশিরভাগ সময় মাঝমাঠেই খেলা চলে। মাঝেমধ্যে বেশ কড়া ট্যাকল করেন জর্জের ফুটবলাররা। ৪০ মিনিটের মাথায় সবথেকে ভালো সুযোগ আসে ইস্টবেঙ্গলের। ডানদিক ধরে উঠে বক্সের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বল বাড়ান সামাদ। মাত্র ২ গজ দূর থেকে বল বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন তরুণ শুভ্রনীল ঘোষ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও চমক। প্রথমার্ধে গোলাপি জার্সি পরে নামলেও দ্বিতীয়ার্ধে ফ্লুরোসেন্ট রং-এর জার্সি পরে নামলেন রেফারি তন্ময় বোস। কারণ ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার রক্ষিত ডাগরও গোলাপি জার্সি পরে ছিলেন। তবে রেফারি জার্সি বদলালেও খেলায় কোনও বদল হলো না। সানডে, জাস্টিন মর্গ্যান, নবি, বাবলু ওরাওরা চোখ টানলেন। চোখ টানলেন জর্জের গোলকিপার লাল্টু মণ্ডলও।
দ্বিতীয়ার্ধে নিজের তুরুপের তাস পিন্টু মাহাতাকে নামান ইস্টবেঙ্গল কোচ। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়লেও গোল আসছিল না। যত সময় এগোচ্ছিল, কপালে ভাঁজ বাড়ছিল কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্ডেজের। সব পরিকল্পনা আটকে যাচ্ছিল তাঁর। শেষ মুহূর্তে অঘটন। অতিরিক্ত সময়ে বক্সের বাইরে থেকে জাস্টিস মর্গ্যানের বাঁ পায়ের শট রক্ষিত ডাগরকে দাঁড় করিয়ে রেখে জড়িয়ে যায় জালে। চুপ করে যায় ইস্টবেঙ্গল গ্যালারি। আর খেলায় ফিরতে পারেনি লাল-হলুদ।
আজ ম্যাচ খেলতে নামার আগে থেকেই লাল-হলুদ গ্যালারিতে ছিল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস। সাইডলাইনে তখন বসে ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান জয়ী অধিনায়ক সুলে মুসা ও ফুটবলার পি সুরেশ। যদিও তাঁদের সামনে সেই খেলা দেখা গেল না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের। বরং জর্জ কোচের পরিকল্পনার কাছে আটকে গেল আলেজান্দ্রো মেনেন্ডেজের স্ট্র্যাটেজি। উল্টোদিকে জাস্টিস মর্গ্যান, জোয়েল সানডেরা অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেললেন। পুরো ম্যাচেই আক্রমণ করতে দেখা গেল তাঁদের। আর তারই ফল পেল জর্জ।