ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে উন্নাও কাণ্ডের নিগৃহীতার। লখনউ থেকে এয়ারলিফট করে দিল্লির এইমসে নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্তের সংক্রমণে অবস্থা আরও সঙ্কটজনক নির্যাতিতার। তাঁর আইনজীবীর অবস্থাও গুরুতর। অন্যদিকে, এ দিনই মূল অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিঙ্গার ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, পকসো আইন, অপহরণ, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, অস্ত্র আইন লঙ্ঘণ-সহ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে চার্জ গঠন করেছে দিল্লি আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধর্ষণ ও ট্রাক চাপা দিয়ে নিগৃহীতাকে সপরিবার হত্যার চেষ্টার পাঁচটি মামলাই উত্তরপ্রদেশ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ দিন দিল্লির আদালতে সেই মামলাগুলিরই শুনানি ছিল। বিচারক ধর্মেশ শর্মার বেঞ্চ জানিয়েছে, কুলদীপ সিঙ্গারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৭৬ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চার্জ গঠন করা হয়েছে আর এক অভিযুক্ত শশী সিংয়ের বিরুদ্ধেও।
বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই চার্জশিট পেশ করে জানিয়েছিল, নির্যাতিতার বাবাকে মারধর করেন সিঙ্গার ও তাঁর ভাই। পরে তার বাবাকেই বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে গ্রেফতার করা হয়। জেলে এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি মারা যান। বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে এই কাজে হাত ছিল রাজ্য পুলিশের তিন জন অফিসার ও আরও পাঁচজনের। সকলের বিরুদ্ধেই অস্ত্র আইন লঙ্ঘণের অভিযোগ এনেছে সিবিআই।
চলতি সপ্তাহের প্রথমেই লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে দিল্লির এইমসে উড়িয়ে আনা হয়েছে উন্নাও কাণ্ডের নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী মহেন্দ্র সিংহকে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে দু’জনের উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি বিভাগ, অর্থোপেডিক্স, ট্রমা সার্জারি, পালমোনারি মেডিসিন-সহ বিভিন্ন বিভাগের অভিজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, নিউমোনিয়ার প্রকোপ তো ছিলই। সম্প্রতি রক্তের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে নির্যাতিতার। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁর আইনজীবীও। ২৪ ঘণ্টা দু’জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।