সোমবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভূস্বর্গে। গত ৫ দিনে সেখানে নাভিশ্বাস উঠলেও অবশেষে সেই থমথমে পরিবেশ কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরে। উপত্যকার অংশবিশেষে ফেরানো হয়েছে ইন্টারনেট ও টেলি-সংযোগ। স্থানীয় মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে শুক্রবারের প্রার্থনা সারতে পারে সেই জন্যেও থাকছে ব্যবস্থা। যদিও এখনই বাড়তি সেনা সরানো হচ্ছে না। শহর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জারি থাকছে কার্ফুও।
আগামী সোমবার ইদ। বৃহস্পতিবার নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছেন বাইরে থাকা কাশ্মীরিরা যাতে ইদের আগে ঘরে ফিরতে পারেন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। রাজ্যপাল সত্যপাল সিংহও বৃহস্পতিবারই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা যেতে পারে এবার। সব মিলিয়ে তাই শুক্রবারের প্রার্থনাকেই পরীক্ষামূলক ভাবে বেছে নিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, শুক্রবার দিনটা নির্বিঘ্নে কাটলে বিধিনিষেধ আরও একটু শিথিল করা হবে উপত্যকায়।
এদিন শ্রীনগরের প্রধান প্রার্থনাস্থল জামা মসজিদ বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন এলাকার ছোট মসজিদগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্যে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিংহ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘কাশ্মীরবাসী প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দিতে পারেন। এই ব্যাপারে কোনও বাধা নেই। তবে নিজের এলাকার বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে উপত্যকার মানুষকে।’’ ইদের আগে উপত্যকায় কোনও রকম অশান্তি চায় না কেন্দ্র। সেই কারণে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহেবুবা মুফতি বা ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি রাখার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকছে কেন্দ্র।