কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত করল সিপিআইএম। এই প্রসঙ্গে বৈঠকও হয়ে গিয়েছে সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্র ও বিমান বসুর মধ্যে। বৈঠকের পরই জোটের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় সিপিআইএম। শুরু হয়ে গিয়েছে আসন্ন নির্বাচনগুলির আসন ভাগাভাগির প্রক্রিয়াও।
বৈঠকের পর জোট প্রসঙ্গে সোমেন মিত্র বলেন, ‘প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সমস্ত জায়গায় জোট করব আমরা। তৃণমূল ও বিজেপি, উভয়কে হারাতেই জোট হবে’। পাশাপাশি আলিমুদ্দিনের অন্দরের খবর, বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত হয় আর কোনও ছুঁৎমার্গ নয়। আগামী সব ভোটেই হাতের হাত ধরে চলবে সিপিআইএম। সব মিলিয়ে দুই দলের ৩ নেতা একেবারে ঘোষিত অবস্থান নিলেন জোটের বিষয়ে।
রাজ্যের পরিস্থিতির বিচারে সিপিআইএম মনে করছে, তাঁরা একা লড়ার অবস্থায় নেই। লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে সিপিআইএম-এর। রাজ্যে খাতা-ই খুলতে পারেনি এককালের ৩৪ বছরের রাজ্যের শাসক বামেরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস পায় মাত্র ২টি আসন। অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে, জাতীয় দলের মর্যাদা কার্যত খোয়াতে বসেছে সিপিআইএম।
এই পরিস্থিতিতে বৈঠকে বসেন ৩ নেতা। স্থির হয়, সামনে কলকাতা পুরসভা নির্বাচন। একইসঙ্গে রয়েছে ৩ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। পুর নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন, সবেতেই কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরে লড়বে সিপিআইএম। বৈঠকে উপনির্বাচনের আসন ভাগাভাগিও চূড়ান্ত হয়। সিদ্ধান্ত হয়, কালিয়াগঞ্জ ও খড়গপুর আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। অন্যদিকে, করিমপুর আসনে প্রার্থী দেবে সিপিআইএম। উল্লেখ্য, এই করিমপুর কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভোট সিপিআইএম-এর থেকে বেশি। কিন্তু বৈঠকে চূড়ান্ত হয় সেখানে প্রার্থী দেবে সিপিআইএম-ই।
উপনির্বাচনের পাশাপাশি কলকাতা পুরসভা ভোট নিয়েও আসন ভাগাভাগির পর্যালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে দুই দলের অন্দরে। কলকাতা পুরসভার ১৪১ টি ওয়ার্ড। দলীয় সূত্রে খবর, একদিকে আলিমুদ্দিনে যেমন খসড়া তৈরি হচ্ছে। তেমনই রিপোর্ট তৈরি করছে কংগ্রেসও। এই আসন ভাগাভাগিতে শেষ কথা বলবেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র ও সোমেন মিত্র-ই।