‘দিদিকে বলো’ অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছে বাংলায়। তাই এবার আসন্ন শারদোৎসবে ‘দিদিকে বলো’-র বদলে ‘মাকে বলো’। নিজের সমস্ত সমস্যার কথা দিদিকে খুলে বলার জন্য রয়েছে টোলফ্রি নম্বর। যেখানে ফোন করে ‘দিদি’কে মনের কথা খুলে বলছেন অনেকে। আর এবার তাই এই ভাবনাকেই তাঁদের থিম বানাচ্ছে কুমোরটুলি সার্বজনীন। কুমোরটুলি সর্বজনীনের উদ্যোক্তারা বলছেন, “পুজোর চার দিন মা দুর্গাকেও মনের কথা খুলে বলা যাবে। তবে মা তো আর মোবাইল ব্যবহার করেন না, তাই মায়ের কাছে কিছু চাইতে হলে আসতে হবে তাঁদের মণ্ডপেই”।
পুজো উদ্বোধনের জন্য উদ্যোক্তারা চিঠি পাঠাতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁদের মতে, দিদিকে বলে রাজ্যের মানুষের সমস্যার সুরাহা হচ্ছে। আমাদের মণ্ডপেও এসেও দর্শকরা দুর্গার কাছে যা চাইবেন, সেই সব মনস্কামনাই পূরণ হবে। কুমোরটুলি সর্বজনীনের আহ্বায়ক দেবাশিস ভট্টাচার্যর কথায়, “দিদিকে বলো থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মাকে বলো ক্যাচলাইনটি আমাদের মাথায় আসে। দু’-একদিনের মধ্যে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টিজার পড়ে যাবে। এহেন পুজোর উদ্বোধন দিদি করলেই সব থেকে ভালো”।
পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা বিলক্ষণ বুঝেছেন, থিম যতই ছাপোষা হোক, বিজ্ঞাপনের অভিনবত্বই শেষ কথা। তাই বিজ্ঞাপনে চমক দিতে ‘দিদিকে বলো’কেই হাতিয়ার করেছে কুমোরটুলি সর্বজনীন। দু’-একদিনের মধ্যেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টিজার-হোর্ডিং পড়বে ‘মাকে বলো!’ আপাতত আর কিছু লেখা থাকবে না তাতে। কুমোরটুলি সর্বজনীনের দুর্গাপুজোর এ বছরের থিম ‘কল্পতরু’। অর্থাৎ, দেবীর কাছে ভক্তিভরে কিছু চাইলেই পাওয়া যাবে। বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন তাই ‘দিদিকে বলো’র অনুকরণে ‘মাকে বলো’।