প্রথম দিন থেকেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ‘দিদিকে বলো’। সরাসরি ফোন করে নিজেদের মনের কথা জানানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষ তাতে আপ্লুত। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা দিনভর প্রচার করে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন দিদিকে বলোকে।১০০ দিনের মধ্যে বাংলার ১০ হাজার গ্রামে ঘুরবেন তৃণমূলের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
‘দিদিকে বলো’ প্রচার কর্মসূচীতে নির্বাচিত বিধায়কেরা প্রতিদিনই নিজের এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের কথা শুনছেন। সারাদিন মানুষের সঙ্গে কাটিয়ে রাতে থাকছেন দলীয় কর্মীর বাড়িতেই। অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে তাতে।
গতকাল সকাল থেকে শহর এবং জেলার নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীতে নিজেদেরকে সামিল করেছেন। বহু মানুষ এসে দেখা করছেন জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে। কথা বলতে চাইছেন দিদির সঙ্গে। বিধায়কেরা তাঁদের নিজদের ফোন নম্বরও দিয়েছেন তাঁদের যাতে যে কোনও সমস্যায় তাঁরা ফোন করতে পারেন। এছাড়াও বিলি হচ্ছে মমতার ছবি দেওয়া ভিজিটিং কার্ড এবং গেঞ্জি।
মহিলা বিধায়কদের মধ্যে অনেকেই নিজের এলাকায় কর্মীর বাড়িতে রাতে থেকে গেছেন। খাওয়াদাওয়া করেছেন। সবংয়ের বিধায়ক গীতা ভুঁইয়াও রাত কাটিয়েছেন এক কর্মীর বাড়িতে। প্রত্যেকে বলছেন, “ এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। গোটা রাত ধরে সবার সঙ্গে কাটানো, তাঁদের কথা শোনা, খুব ভালো লাগছে”। সব মিলিয়ে তৃণমূলের নেতারা এখন দিনভর ব্যস্ত, লক্ষ্য একটাই- আরও সফল করতে হবে ‘দিদিকে বলো’।