আই লীগ বড় না আইএসএল? এই বিতর্কেই সরগরম হয়ে রয়েছে ভারতীয় ফুটবল। কিন্তু অনেকবারই প্রমাণ হয়েছে যে, আই লীগের ক্লাবগুলির কাছে আইএসএল কিছুই না। আর আজ আবার সেটা প্রমাণ হল। আজ ডুরান্ডের ম্যাচে আইএসএলের ক্লাব জামশেদপুর এফসিকে গোলের মালা পরাল আই লীগ খেলা শতবর্ষে পা রাখা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। মঙ্গলবার ঘরের মাঠে জামশেদপুরের ক্লাবকে ৬-০ গোলে দুরমুশ করল লাল-হলুদ শিবির। সেই সঙ্গে ডুরান্ডের সেমিফাইনালের টিকিটও কার্যত নিশ্চিত করে ফেলল শতবর্ষের ক্লাব। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে ড্র করলেই নিশ্চিত শেষ চার।
সোমবার বেঙ্গালুরু এফসি আর্মি রেডের সঙ্গে ড্র করায় ইস্টবেঙ্গলের কাজটা সহজ হয়ে যায়। জামশেদপুরকে হারাতে পারলেই সুযোগ ছিল সেমিফাইনালের টিকিট কার্যত নিশ্চিত করে ফেলার। তবুও ঝুঁকি নিলেন। দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলেন কোচ আলেহান্দ্রো। গত ম্যাচের থেকে আজকের ম্যাচের প্রথম একাদশে ছিল আকাশ পাতাল তফাৎ। গত ম্যাচে খেলা অনেককেই এদিন তিনি রাখেননি প্রথম একাদশে। তবুও তাতে জয় আটকায়নি।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই জামশেদপুরের উপর জাঁকিয়ে বসে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করে ফেলেন হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। তিন মিনিট বাদে আবার একটা গোল। এবারেও সেই কোলাডো। শুরুতেই জোড়া গোল খাওয়ার ধাক্কাটা এরপর আর সামলাতে পারেনি জামশেদপুর। তাছাড়া, রিজার্ভ দলে তেমন উঁচু মানের ফুটবলারও ছিলেন না। তাই জামশেদপুরের দলটি পেরে ওঠেনি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে।
এদিন লাল-হলুদের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন জঙ্গলমহলের পিন্টু মাহাতো। ম্যাচের সেরাও হন তিনিই। প্রথমার্ধে এরপর আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে শুরু হয় বিদ্যাসাগর-শো। ৭৪ ও ৮২ মিনিটে দুটি গোল করেন তিনি। ষষ্ঠ তথা শেষ গোলটি করেন হাওকিপ। প্রথম ম্যাচে আর্মি রেডের বিরুদ্ধে গোল পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল লাল-হলুদকে। এদিন, এতগুলো পাওয়ায় নিঃসন্দেহে স্বস্তি পাবেন কোচ-ফুটবলার-সমর্থকরা।