অব্যাহত গেরুয়া সন্ত্রাস। বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এখনও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। এবার গেরুয়া সন্ত্রাসে তটস্থ পটাশপুর। বিজেপির কিছু কর্মী বলপূর্বক তালা ঝুলিয়ে রেখেছে পঞ্চায়েত অফিসে। পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানকে দেওয়া হচ্ছে হুমকি আর এর জেরে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি পরিষেবা।
পটাশপুর ১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এখন তৃণমূলের দখলে। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এখন যেতে পারছেন না পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা। ফলে রীতিমত শিকেয় উঠেছে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কাজকর্ম। প্রধান ও উপ-প্রধানের অফিস ঘরে বেশীরভাগ দিন লাগানো থাকছে তালা। অভিযোগ বিজেপির পক্ষ থেকেই এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস মাজি বলেন, বিজেপির অত্যাচারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, উপ-প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যরা যেতে পারছেন না গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। তার অভিযোগ, রীতিমত সিপিএমের কায়দায় মারধর, জরিমানা আদায় শুরু করেছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে বিজেপি। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যখন তখন হাজির হয়ে ঝামেলা পাকাতে চাইছে। যার জন্য মোতায়েন হয়েছে পুলিশ। তবে খুব শীঘ্রই সাংগঠনিকভাবে এর মোকাবিলা করা হবে জানান তিনি।
মানুষজন ফিরে যাচ্ছেন সরকারি পরিষেবা না পেয়ে। থমকে রয়েছে উন্নয়নের কাজ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, তাদের দলের নেতা ও কর্মীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার নামিয়ে এনেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও কর্মীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই এই অত্যাচার শুরু হয়েছে অভিযোগ তৃণমূলের।