লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে উন্নাও কান্ডের নির্যাতিতা কিশোরীকে। রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে প্রয়োগ করা হচ্ছে ওষুধ। বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা তাঁর দেখভাল করছেন। জানা গেছে, তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। মঙ্গলবার দুপুরে এইমস্–এর মেডিক্যাল বুলেটিন সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। এমনকি এদিন সকালে লখনউ থেকে কিশোরীর আইনজীবী মহেন্দ্র সিংকেও এইমস্–এ ভর্তি করা হয়।
লখনউ–এর কিং জর্জেস হাসপাতাল থেকে সোমবার রাত ৯.১৮ মিনিট নাগাদ এইমস্–এর আইসিইউ ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় কিশোরীকে। এজন্য লখনউ এবং দিল্লিতে দুটি গ্রিন করিডোর তৈরি করে পুলিস। লখনউ–এর চৌধুরি চরণ সিং বিমানবন্দরে মাত্র ৩৯ মিনিটে পৌঁছয় কিশোরীর অ্যাম্বুল্যান্স।
হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এইটুকু রাস্তায় সহকারী এসপি পদমর্যাদার অফিসার সহ কমপক্ষে ১৫০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। রাত ৯ টা নাগাদ দিল্লি পৌঁছয় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। সোমবার সকালেই সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি দীপক গুপ্ত-অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসনকে যাতে কিশোরী এবং তাঁর আইনজীবীকে সুচিকিৎসার জন্য লখনউ থেকে এইমস্–এ ভর্তি করা হয়। সেই মতো আদালতের নির্দেশ পালন করে প্রশাসন।