তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন অসুস্থ। অসুস্থতার কারণে ২১ শে জুলাইয়ের শহিদ দিবসে অংশও নিতে পারেননি। এমনকি সাম্প্রতিক দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকেও অংশ নিতে পারেননি তিনি। কিন্তু এখন তিনি অনেকটাই সুস্থ। ধীরে ধীরে হাঁটতেও পারছেন। আর তাই বাড়িতে থাকার প্রয়োজন নেই। আর তাই কিছুটা সুস্থ হতেই দলের কাজে নেমে পড়লেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মন্ডল। আর ফিরেই পুরানো মেজাজেই পাওয়া গেল তাঁকে। ছাড়লেন হুঙ্কার। আবার কিছুটা নরম হয়ে সবাকে জানালেন ধন্যবাদও। আর ফিরেই ময়ূরেশ্বরের গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলমুক্ত করলেন অনুব্রত।
গতকাল বোলপুরে জেলা মিটিংয়ের শুরুতেই ময়ূরেশ্বরে বিজেপি–র হাতে থাকা ডাবুক পঞ্চায়েতের প্রধান কল্যাণী গোস্বামী–সহ চারজন সদস্যকে তৃণমূলে যোগদান করালেন। কল্যাণীর ছেলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কুমারগৌরব গোস্বামীও এদিন যোগ দেন। স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে দল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিজেপিতে থেকে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না তাঁরা তাই অনুব্রত নিজে হস্তক্ষেপ করে মা, ছেলেকে দলে ফেরালেন।
অনুব্রত জেলা কমিটির মিটিংয়েও স্পষ্ট বললেন, ‘শরীরের অসুস্থতার জনে কিছুদিন কলকাতায় থাকতে হয়েছে। আবারও থাকতে হবে। কারণ আরও একটা অপারেশন আছে। আমি আসতে না পারলেও ফোনে যোগাযোগ থাকবে। কোনও সমস্যা হলে ফোনে যোগাযোগ করবেন।’ এদিন অনুব্রত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচী কীভাবে পালন করতে হবে তা কর্মীদের জানিয়ে দেন। পাশাপাশি জেলার বিধায়কেরা গ্রামে গ্রামে রাত্রিবাস করার সময় সেই গ্রামের সমস্যার কথা তাঁরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন কিনা সেগুলো খোঁজখবর নেন। বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।