গোটা বাংলা জুড়ে ব্যাপক সারা মিলছে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচীকে ঘিরে। তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা দিনভর ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ কর্মসূচিতে শামিল হয়েছেন। নিজেদের কেন্দ্রে গিয়ে তাঁরা সাধারণ মানুষ ও সমাজের কয়েকজন বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন, রাত কাটাচ্ছেন দলীয় কর্মীর বাড়িতে। এবার কুলটিতে নিশিযাপন করলেন বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়।
বিধায়কের আসার খবরে সাড়া পড়ে সকলের মধ্যে। তৈরি হয় পিকনিকের আবহ। প্যান্ডেল খাটিয়ে খিচুড়ি রান্না করেন গ্রামবাসীরা। তারপর গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে মাটিতে বসে পাত পেড়ে নৈশভোজ সারেন বিধায়ক। এরপরে বেশ কিছুক্ষণ খোশমেজাজে গল্পগুজব করে দড়ির খাটিয়াতেই রাত কাটিয়ে দেন তিনি। বিধায়ককে কাছে পেয়ে স্বভাবতই খুশি গ্রামবাসীরা।
কুলটির ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সীতারামপুর এবং ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড বিষ্ণুবিহার এলাকায় যান উজ্জ্বল। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সমস্যার কথা জানতে চান তিনি। ফোন নম্বর-সহ দিদিকে বলোর কার্ড বিলি করেন তিনি। সেখান থেকে রাতে বড়ধাওড়া গ্রামে আসেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে ধামসা মাদল নিয়ে গ্রামের পুরুষরা এবং নাচের পোশাক নিয়ে শিশুরা অপেক্ষা করছিল। গ্রামবাসীরা সকলেই চাইছিলেন তাঁদের বাড়িতে বিধায়ককে আপ্যায়ন করতে কিন্তু তাতে নিমরাজি ছিলেন তিনি। তাই ওইরকম পিকনিকের আবহ তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা স্বাভাবিক ভাবেই খুব খুশি বিধায়ককে এত কাছে পেয়ে।