ছুটির দিন হলেও তৃণমূলের নেতা, কর্মীদের কাছে জনসংযোগের দিন। তাই গতকাল গোটা দিন ধরে তাঁরা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন ‘দিদিকে বলো’। নিজেদের কেন্দ্রে গিয়ে তাঁরা সাধারণ মানুষ ও সমাজের কয়েকজন বিশিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের কাছে পেয়ে অনেকে মন খুলে কথা বলেন।
রবিবার কলকাতার বিধায়ক ও মন্ত্রীরা কখনও নিজেদের কার্যালয়ে, কখনও রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্য জুড়ে ‘দিদিকে বলো’ জনসংযোগ কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। রবিবারও বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মমতার ছবি দেওয়া ভিজিটিং কার্ড ও স্টিকার বিলি করেছেন নেতারা। ২ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। ১০০ দিনে ১০০০ প্রতিনিধি ১০,০০০ গ্রাম ও শহর ঘুরবেন। মন্ত্রী ও বিধায়কেরা নিজেদের কেন্দ্রে কারও বাড়িতে খাওয়াদাওয়া ও রাত্রিবাস করছেন।
এদিন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও রাসবিহারী এলাকায় গণ্যমান্য মানুষজনের সঙ্গে দেখা করেন। এঁদের মধ্যে প্রখ্যাত চিকিৎসক এম এস ঘোষও রয়েছেন। শোভনদেবের কাছ থেকেও মমতার ছবি দেওয়া ভিজিটিং কার্ড পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, এখন আমি বাড়ি থেকে বেরোতে পারি না। তবে আমার কাছে কেউ কেউ দেখা করতে আসেন। তাঁদের কাছে আমি জানতে চাইব, এত উন্নয়ন সত্ত্বেও কেন এমন হল?’ চলচ্চিত্র পরিচালক দেবকীকুমার বসুর ছেলে দেবকুমার বসুর সঙ্গেও বিদ্যুৎমন্ত্রী দেখা করেছেন। তাঁর মতামত শুনেছেন। এক বহুজাতি সংস্থার সিইও সন্দীপ মুখার্জি, ইঞ্জিনিয়ার গোপাল সাউ, ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের প্রাক্তন সভাপতি পার্থ ঘোষের সঙ্গেও কথা বলেছেন রাসবিহারীর বিধায়ক।
গতকাল দমদম বিধানসভায় কয়েকজন বিশিষ্টের সঙ্গে কথা বলেন বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নং ওয়ার্ডে ব্রাত্যবাবু বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ও অভাব–অভিযোগ শোনেন। কী প্রত্যাশা তাঁদের তাও তিনি জেনে নেন। কয়েকটি বিষয়ে তাঁরা মতামত দিয়েছেন। মন্ত্রী সবই ধৈর্য ধরে শুনেছেন। এঁরা হলেন— বাসুদেব যশ, ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু, প্রদীপ চন্দ্র ও সুনীল মজুমদার। আজ স্বাস্থ্য দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নিজের বিধানসভা কেন্দ্র কাঁথি (দক্ষিণ)–এর মাজনা গ্রামে এক বুথ কর্মীর বাড়িতে রাত্রিবাস করবেন। পরের দিন সকালে এলাকায় পতাকা তুলবেন।