যেমন কথা তেমন কাজ। ডায়মন্ড হারবারের জাতীয় সড়কে ধস নামায় এলাকার সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়েছিলেন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। এনেছিলেন কাটমানির প্রসঙ্গও। পাল্টা টুইটে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অভিষেক। বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেরামত করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দেব। তাই হল। বৃহস্পতিবার সকালে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছিল। যুদ্ধকালীন ক্ষিপ্রতায় চব্বিশ ঘণ্টা অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে জাতীয় সড়ক মেরামত করে প্রায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিল তৃণমূল সরকার।
ডায়মন্ড হারবারে ধস নেমে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ চলে যায় নদী গর্ভে। থমকে যায় কাকদ্বীপ-নামখানা-ডায়মন্ডহারবার রুটের যান চলাচল। এরপরেই আসরে নেমে পড়েন সিপিএমের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেছিলেন, নদীর পাড়ে ঝুলন্ত উদ্যান বানাতে গিয়েই কি এই বিপত্তি হল? নাকি এ ধরনের নির্মাণের জন্য যে কারিগরি পারদর্শিতা থাকার প্রয়োজন তা না থাকার কারণেই এ রকম হল? এমনকী এ ঘটনার সঙ্গে কাটমানি-রোগের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন এই সিপিএম নেতা।
পাল্টা টুইট করে জবাব দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, আমি কথা দিচ্ছি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে মেরামত করে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দেব। তার পর আপনি বরং একবার সময় করে এসে ঘুরে যাবেন। তার পর ছবি তুলে পোস্ট করে আপনার অনুগামীদের দেখাবেন।
যেমন কথা তেমন কাজ। বৃহস্পতিবার থেকেই কাজে নেমে পড়েছিল পূর্ত দফতর। নদী পাড়ে বাঁধ দিয়ে, তার পর সেখানে ভাঙা ইট ফেলে রাস্তা সমান করা হয়। পড়েছে পিচও। জেলা শাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল থেকেই হাল্কা গাড়ি চলাচল করছে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে গোটা কাজটা শেষ করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে’। তাঁর কথায়, ‘মূলত জোয়ারের জলের ধাক্কাতেই এই বিপত্তি হয়েছে। আগামী দিনে এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই নদীর পাড় বাঁধানোর কাজ হচ্ছে’।