অমরনাথ যাত্রার ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। আর তাই তার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। বাড়ানো হয়েছে টহলদারি। ১০ হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার রাতেই জানাজানি হয়ে যায়, উপত্যকায় আরও পঁচিশ হাজার সেনা মোতায়েন করতে চলেছে সেনাবাহিনী।
উপত্যকায় ফিফটিন কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ধিলোঁ জানালেন, কাশ্মীরে কাশ্মীরে চলতি অমরনাথ যাত্রার উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে সর্বশক্তি দিয়ে নেমেছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাদের প্রত্যক্ষ ভাবে মদত করতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। মূলত সেই লক্ষ্য নিয়েই গত কয়েক দিন ধরে নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে।
লেফটেন্যান্ট ধিলোঁ আরও জানান, গত চার-পাঁচ দিন ধরে গোটা উপত্যকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে সেনাবাহিনী, আধা সামরিক বাহিনি ও জম্মু কাশ্মীরের পুলিশ। বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়েছে, গ্রেফতার হয়েছে আরও কয়েক জন জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক এবং আইইডি উদ্ধার করা হয়েছে।
জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মার্কিন সংস্থার তৈরি পাক সেনার অ্যাসল্ট ও স্নাইপার রাইফেল ও পাকিস্তানের অর্ডিন্যান্স কোম্পানিতে তৈরি মাইনও সাংবাদিকদের দেখান সেনাকর্তারা। অমরনাথ যাত্রার রুটের আশপাশ থেকেই জঙ্গিদের কাছ থেকে সেগুলো উদ্ধার হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দিলবাগ সিংহ জানান, এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ চল্লিশ হাজার তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রায় গিয়েছে। কোনও বিপদ আপদ এখনও হয়নি। তবে জঙ্গিরা আইইডি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে তৎপর। সেই কারণেই অমরনাথ যাত্রার দুটো রুটেই সেনা মোতায়েন ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। গতকালই সেনা বাহিনীর একটি কনভয়ের উপরে হামলা করেছে জঙ্গিরা। তাঁর কথায়, এটা ঠিক যে গত এক-দেড় বছরে উপত্যকায় সক্রিয় বহু জঙ্গি সংগঠনকে সমূলে খতম করতে পেরেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।