সম্ভবত উঠে যেতে চলেছে বেতন কমিশন। অতীতে যেমন যোজনা কমিশন তুলে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী, সেভাবেই বেতন কমিশনও তুলে দেবার পরিকল্পনা করছে মোদী সরকার।
মোদী সরকার সপ্তম বেতন কমিশন চালু করেছে আনেক আগেই। তবে এখনও দাবি দাওয়া মেটেনি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট এখনও পেশ করা যায়নি। তা নিয়ে ক্ষোভের অন্ত নেই। এরই মধ্যে নতুন খবর। অষ্টম বেতন কমিশন আর নয়।
তাহলে কীভাবে বাড়বে সরকারি কর্মচারীদের বেতন? বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, আগামী দিনে অ্যাকরয়েড পদ্ধতির মাধ্যমে নির্হারিত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন। কী এই অ্যাকরয়েড পদ্ধতি? এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে এই পদ্ধতিতে সব কর্মীর একই হারে বেতন বাড়বে না। দেশের মুদ্রস্ফীতির পাশাপাশি কর্মীদের কর্মদক্ষতারও বিচার করা হবে এই পদ্ধতিতে। এর উপরেই নির্ভর করবে বেতন বৃদ্ধি।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ওয়ালেক রুডেল অ্যাকরয়েড এই পদ্ধতির আবিষ্কারক। মূলত খাবার, পোশাক পরিচ্ছদের চাহিদার কথা ভিত্তি করেই এই পদ্ধতির আবিষ্কার। এই পদ্ধতিতে জিনিসপত্রের দাম পরিবর্তনের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে একটা প্যাকেজ তৈরি করা হয়, যার মাধ্যমে মানুষ স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে।
এই নতুন পদ্ধতির কথা সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশেই বলা হয়েছিল৷ বিচারপতি এ কে মাথুরের নেতৃত্বে গঠিত সপ্তম বেতন কমিশনই এমন পরামর্শ দিয়েছিল। তাতে বলা হয়, বেতন কমিশন নয়, ফি বছর প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী বেতন বাড়ানো হোক। জানা গিয়েছে, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে সেই পথেই হাঁটতে চাইছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই সেই তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কবে থেকে তা কার্যকর হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।