বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখার উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিয়েছেন যদি তাঁর দলের কেউ কাটমানি নিয়ে থাকেন তা যেন অবিলম্বে ফেরত দেন। তবে যত দিন যাচ্ছে তত তৃণমূল নয় বরং বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে কাটমানি প্রসঙ্গে। এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলে এ বার পোস্টার পড়ল বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে সেই পোস্টার দেখা যায় নারায়ণগড়ের বাখরাবাদে।
এ দিন সকালে বাখরাবাদ, খালিনা, জগৎপুর এলাকার কয়েকটি দোকানের সামনে এই পোস্টার সাঁটানো ছিল। পরে বিজেপি কর্মীরা সেই পোস্টার ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। লিখিত সিদ্ধান্ত থেকে জানা গেছে, তপন প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী উপভোক্তাদের বাড়ির কাজ সম্পূর্ণ করে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। বলা হয়েছিল, শেষ কিস্তির টাকা ঢুকলেই উপভোক্তা পিছু ৫ হাজার ফেরত দেবেন তিনি। ইতিমধ্যেই কয়েকজন উপভোক্তা শেষ কিস্তির টাকা পেয়ে গেলেও তপন তাঁদের কোনও টাকা দেননি। তপনের অবশ্য দাবি, ‘‘অনেকের অ্যাকাউন্টেই এখনও টাকা আসেনি। তাই সেই টাকা ব্লক সভাপতির কাছ আছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণগড়ের বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের খালিনা বুথে আবাস যোজনার ২৪ জন উপভোক্তার কেউই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের আগের বোর্ডের সময়ে ওই উপভোক্তাদের নাম পাঠানো হয়েছিল। তখন ওই বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন তৃণমূলের সুশান্ত ধল। তিনি অবশ্য ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়াননি। তবে যেহেতু এই আবাস যোজনার তালিকা তাঁর সময়ে পাঠানো হয়েছিল তাই উপভোক্তাদের একাংশ দ্বিতীয় কিস্তির টাকা চেয়ে লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল বেরনোর পর তাঁর কাছে যান। ওই তৃণমূল নেতাকে হেনস্তা করেন বলেও অভিযোগ।
উপভোক্তারা দাবি করেছেন, বিজেপি নেতার গাফিলতিতেই তাদের বাড়ি সম্পূর্ণ হয়নি। এ দিন সকালে যে পোস্টার দেখা যায় সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, সুভাশিস ও গৌরাঙ্গ সাউ নামে আরেক বিজেপি নেতা টাকা লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।