সিএবির আজীবন স্বীকৃতি সম্মান পাচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন টেস্ট তারকা অরুণ লাল। মঙ্গলবার সিএবি কর্তারা আলোচনার পর অরুণ লালের নামই বেছে নেন। দেশের হয়ে ১৬ টেস্ট খেলা অরুণ লাল বাংলার রঞ্জি জয়ী টিমের সদস্য। এই মুহূর্তে তিনি বাংলা টিমের কোচও। ৩ অগস্ট নেতাজি ইন্ডোরে সম্মানিত করা হবে অরুণ লালকে। সে দিন সিএবির বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কার দিতে আসবেন ভারতীয় তারকা অজিঙ্ক রাহানে।
মঙ্গলবার সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অরুণলালকে লাইফটাইম পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়। বাংলার ক্রিকেটে তাঁর অবদানের কথা মাথায় রেখে ৮৯-এর রঞ্জিজয়ী দলের অন্যতম সদস্যকে জীবনকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বঙ্গক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা৷ এই সম্মান পেয়ে স্বভাবতই খুশি বঙ্গক্রিকেটের লাল৷ তিনি বলেন, ‘ নিঃসন্দেহে ভাল লাগছে। তবে আমার কাছে এখনও বাংলার ক্রিকেট দল ছাড়া মুখ্য কিছু নয়। নতুন মরশুমে ভালো ফল করায় আমার লক্ষ্য। বাংলার প্রতিভার অভাব নেই৷ কিন্তু সেগুলো মাঠে কাজে লাগাতে হবে।’
সম্মানিত হয়ে গর্বিত অরুণ লাল বলেন, ‘আমি দেশের হয়ে টেস্ট খেলেছি। বাংলার হয়েও বহু ম্যাচ খেলেছি। রঞ্জি জিতেছি। সে সবের স্বীকৃতি হিসেবে থাকবে এই সম্মান। আমি গর্বিত।’ সেই সঙ্গে অরুণ লাল জুড়ে দেন, ‘আমি জীবনে অনেক লড়াই করেছি। সেই লড়াই টিমের ছেলেদের মধ্যেও ছড়িয়ে দিতে চাই। এই পুরস্কার হয়তো তরুণ প্রজন্মকেও উদ্বুদ্ধ করবে।’ প্রসঙ্গত, ক্রিকেটের বাইশ গজের বাইরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছেন অরুণ লাল।
বাংলার হয়ে ১৯৮২ সাল থেকে ’৯৬ সাল পর্যন্ত বাংলার হয়ে ব্যাট ধরেছেন। জিতিয়েছেন বহু ম্যাচ। জীবনকৃতি পুরস্কারের জন্য এবার অরুণলালের সঙ্গে দৌড়ে ছিলেন আরও কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিএবি তাঁকে বেছে নেওয়ায় আপ্লুত অরুণলাল। তিনি বলেন, ‘বাংলার হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম সেটাই বড় প্রাপ্তি। তারপর এই সম্মানের জন্য আমাকে বিবেচিত করায় সিএবিকে ধন্যবাদ।’