মিশন চন্দ্রযান-২ নিয়ে আপামর ভারতবাসী গর্বিত। যাদের কুশলী মস্তিষ্কের সৌজন্যে এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে, সেই ইসরোর বিজ্ঞানীদেরও কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা দেশ। অথচ এসবের মধ্যেই বিজ্ঞানীদের অসম্মান করেছে কেন্দ্র! এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের। আসলে, চন্দ্রযান মিশন চলাকালীনই ইসরোর বিজ্ঞানীদের বেতন অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে তাদের দুটি উৎসাহ-ভাতা। এবার মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ এই বিষয়টি নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে রাজ্যসভায় নোটিসও দিয়েছেন।
বিশ্বমঞ্চের তাবড় দেশের বিজ্ঞানীরাও ইসরোর প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছে। কিন্তু নিজের দেশের সরকার থেকে কি সামান্য সম্মান পেয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা? বিরোধীদল কংগ্রেস তো সে কথা বলছেন না। তাদের অভিযোগ, ইসরোর যোগ্য বিজ্ঞানীদের চরম অসম্মান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশ যখন ‘চন্দ্রযান’-এর প্রেক্ষিতে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের নিয়ে মাতামাতি করছে, সেই সময়ই তাদের বেতন কমিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার! খুব স্বাভাবিক ভাবেই মোদী সরকারের এহেন পদক্ষেপের বিরোধিতা করবে রাজনৈতিক মহল।
চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপনের আগে বিজ্ঞানীরা যখন দিনরাত পরিশ্রম করছেন, সেসময়ই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় বিজ্ঞানীদের দুটি উৎসাহ-ভাতা বন্ধ করা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয় ১২ জুন। যাতে বলা হয়, ১৯৯৬ থেকে অতিরিক্ত বেতন হিসেবে ইসরোর বিজ্ঞানীরা দুটি উৎসাহ-ভাতা পাচ্ছেন। যা বন্ধ করা হচ্ছে। এই উৎসাহ-ভাতা ১ জুলাই থেকে বন্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ডি, ই, এফ, এবং জি পর্যায়ের বিজ্ঞানীরা কম বেতন পাবেন। ইসরোতে মোট ১৬ হাজারের আশেপাশে বিজ্ঞানী রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ বিজ্ঞানী মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কম বেতন পাবেন এ মাস থেকে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই অখুশি বিজ্ঞানীরা।
কংগ্রেসের দাবি, এই বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু তাতে সরাসরি সরকারকে কিছু জানাচ্ছে না। বিরোধীদের একাংশের মতে, যে বিজ্ঞানীরা দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে এক উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছেন তাদের সঙ্গে এই ধরনের বঞ্চনা কোনওভাবেই গ্রাহ্য নয়। এদের মধ্যে অনেকেই সরাসরি নরেন্দ্র মোদী সরকারকেই দুষছেন।