লোকসভা নির্বাচনের পর মোহে পড়ে কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তবে মোহ তো চির স্থায়ী হয় না। তাই সেই মোহ কাটতেই আবার পুরোনো ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন তাঁরা। এর আগে কাঁচড়াপাড়া, হালিশহরে এই প্রত্যাবর্তনের খবর ছিল। এইবার সেই তালিকায় নাম লেখাল হরিণঘাটা। ইঙ্গিত আগেই ছিল এইবার সেটা সত্যি হল। তৃণমূলে ফিরলেন বিজেপিতে যাওয়া দুই কাউন্সিলর। ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। পুরবোর্ডে তৃণমূল-বিজেপি ৯-৮ হয়ে যাওয়ায় এখন তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছিল বিজেপি। কিন্তু বর্তমানে এই দুই জন বিজেপি কাউন্সিলর তৃণমূলে চলে আসার ফলে হরিণঘাটায় বর্তমান অবস্থা ১১-৬। ১১ জন কাউন্সিলর এখন তৃণমূলের। আর ৬ জন বিজেপির।
কাউন্সিলরের সংখ্যা বেশি থাকায় হরিণঘাটা শাসক দলের হাতেই ছিল। তবে এই দুই কাউন্সিলর তৃণমূলে আসার পর আরও শক্ত হল ঘাঁটি। এই পুরসভার পুরপ্রধান রাজীব দালালের কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না কাউন্সিলররা। কারণ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপরই ১ জুলাই রাজীব পুরপ্রধানের পদ ছাড়ার পর ছিল নতুন পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন। কিন্তু সে দিন কাউন্সিলরদের ভোটাভুটিতে শেষ পর্যন্ত নতুন পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃণমূলের মানিকলাল ভট্ট।
মোট ১৭ আসনের এই পুরসভায় মানিকের দিকে ভোট পড়েছিল ৯টি। আর বিজেপি শিবিরের পুরপ্রধান পদের দাবিদার দিলীপ রায়ের দিকে ভোট পড়েছিল ৮টি। কিন্তু এই ৮ জনেরই ২ জন এখন আবার ফিরে এলেন তৃণমূলে। সুতরাং, শাসকদল এখন অনেকটাই এগিয়ে হরিণঘাটায়। ভবিষ্যতে আরও নেতা কর্মী গেরুয়া শিবির ছাড়তে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন নয়া পুরপ্রধান।