পাঁচ বছরের সময়কাল শেষ করে রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে রাজ্যপাল যে বোমা ফাটিয়েছেন, তা একপ্রকার বিনা মেঘে বজ্রপাতের সমান হয়েছে। বিদায়ী রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর উদ্দেশে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণেই নাকি ব্যাহত হচ্ছে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। গতকাল পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এহেন মন্তব্য করেছিলেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এই বক্তব্যের পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের জারিজুরিই দেখছে শাসকদল। এই নিয়ে কেশরীকে বিঁধতে গিয়ে তাঁকে আরএসএস-এর ক্যাডার বলে কটাক্ষ করেন কল্যাণ। এমনকি, রাজ্যপাল রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিসে পরিণত করেছিলেন বলে তোপ দাগেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেও তাঁর নেতারা রাজ্যপালের নামে তুলোধনা করতে থাকেন। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে কল্যাণ বলেন, “ওনি কেমন মানুষ ছিলেন তা সবাই জানে। উনি আসলে আরএসএস-এর ক্যাডার ছিলেন। রাজভবনটাকে রাজনৈতিক আখড়া বানিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপির অফিস বানিয়ে দিয়েছিলেন। উনি যেভাবে রাজ্যপালের আসনের ঐতিহ্য নষ্ট করেছেন, রাজ্যপালের গরিমাকে নষ্ট করেছেন, আগামী দিনে যে রাজ্যপাল আসছেন, আমি ওনাকে ভালোভাবে চিনি। আমি আশা করি, উনি যেন গরিমা নষ্ট না করে সেটাকে আরও উপরের দিকে তুলে ধরেন”। প্রসঙ্গত, রাজ্যের পরবর্তী রাজ্যপাল হিসেবে প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জুলাই দায়িত্ব নেবেন জয়দীপ ধানকর।
যদিও গতকালকের সাক্ষাত্কারে রাজ্যপাল কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছিলেন এমনটা নয়। তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা, দূরদর্শিতা, ইত্যাদিকে কুর্নিশ জানান তিনি। তবে মমতাকে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখারও পরামর্শ দিয়েছিলেন কেশরী। যে মন্তব্যে পর ক্ষোভপ্রকাশ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজভবনটা অনেকদিন ধরেই বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছিল”।