দেশের বিভিন্ন প্রান্তে, বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে হিংসা। সংবাদমাধ্যমের সামনে আসছে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা। আর এই হিংসা বন্ধ করতেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন গোটা দেশের বিদ্বজনদের একাংশ। চিঠিতে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন এই ঘটনা নিয়ে। আর এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক নয়, শুক্রবার দিল্লির আদর্শনগরের ঘটনা ফের একবার সেটা প্রমাণ করে দিল। যেখানে কেবল চোর সন্দেহে ১৪ বছরের নাবালককে পিটিয়ে খুনে করে ফেলা হল। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করেছে সেখানকার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে মুকেশ নামে ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তের বাড়িতে ঢোকে ওই নাবালক। তখনই তাকে ধরে ফেলে মুকেশ। চোর সন্দেহে ওই নাবালককে আটকে আশপাশের প্রতিবেশিদের খবর দেয়। কেন ওই বাড়িতে ঢুকেছিল সে? আদৌ সেই ছেলে চোর কি না? এ সমস্ত কিছু না ভেবেই একটি ঘরে আটকে বেধড়ক মারধর করা হয় ওই নাবালককে। শেষপর্যন্ত মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিসে খবর দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ এসে ওই নাবালককে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে সেই নাবালককে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে আদর্শনগর থানার পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকায় মুকেশ সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায়, মুকেশের দিকেই অভিযোগ তুলেছেন নাবালকের মা-বাবা। তাঁদের দাবি, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই কাজ করেছে মুকেশ।