কালো টাকা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ সেই মোদীর রাজ্যেই ঘুষখোর আধিকারিকের সংখ্যা সর্বাধিক। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এল এমনই তথ্য।
একমাস আগেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকার লড়বে। ঘুষখোর অফিসারদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। গত পাঁচ বছরে ঘুষ নিতে গিয়ে গুজরাতে অন্তত ১১২৭ জন অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শতাংশের হিসেব যদি ধরা হয়। তাহলে শীর্ষে আমেদাবাদ। এই শহরে ১৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৬১ জন সরকারি আধিকারিককে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক বছরে সর্বোচ্চ গ্রেপ্তারির সংখ্যাতেও এগিয়ে আমেদাবাদ। ২০১৫ সালে ৪৯ জন সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপরই তালিকায় রয়েছে ভদোদরা। সেখানে গ্রেপ্তারির সংখ্যাটা ৮৮। সুরাট আছে ৩ নম্বরে। এখানে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে ৮১ জন সরকারি আধিকারিককে এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির বাসস্থান বানসকান্থায় ৫৮ জন সরকারি আধিকারিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গান্ধীনগরে সংখ্যাটা ৪৯।
গ্রেপ্তার হওয়া অফিসারদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়ে গেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে গুজরাট সরকার। গত পাঁচ বছরে সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ খাওয়ার অঙ্কটা ৩.২৩ কোটি! কেউ কেউ আবার ২০০০ কিংবা ১৩০০ টাকা ঘুষ নিতে গিয়েও ধরা পড়েছেন।
একদিকে কালো টাকা অন্যদিকে ঘুষখোর আধিকারিক, দুয়ে মিলিয়ে মুখ পুড়ল মোদী রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের।