বারবার লাগাম ছাড়া মন্তব্য করে বিতর্কে জড়াচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এইবার সমাজের বিশিষ্ট জনদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করে বসলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। গতকাল দেশের কিছু বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এক চিঠি পেশ করেন দেশের কিছু বিশিষ্ট অভিনেতা-অভিনেত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিতর্কিত মন্তব্য করেন বঙ্গ বিজেপির এই নেতা।
তাঁর কথায়, এঁদের না আছে কোনও প্রভাব না আছে কোনও স্বীকৃতি৷ এরা ভারাটে শিল্পী৷ পয়সার বিনিময়ে অভিনয় করেন৷ এখানেও পয়সার বিনিময়ে অভিনয় করছেন৷ আর তারপরই বেশ শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কি করে এমন মন্তব্য করেন তিনি সেটাই হতবাক করছে ওয়াকিবহাল মহলকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার অসহিষ্ণুতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা। ওই এই চিঠিতে সই রয়েছে মণিরত্নম, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণণ, বিনায়ক সেন সহ আরও অনেকেই৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সই করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, গৌতম ঘোষ, অনুপম রায় প্রমুখ প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুধু বিবৃতি নয়, হিংসাত্মক আক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মঞ্চে উঠে ১৮বার ইনসাল্লাহ বলেন তখন বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে যায়৷ হিন্দু লোকাচার হলেই এঁরা সমালোচনা করা শুরু করে৷ এঁদের না আছে কোনও প্রভাব না আছে কোনও স্বীকৃতি৷” তিনি আরও বলেন, ”“এরা তো মুখ্যমন্ত্রীরই লোক৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করছেন৷ ওনার থেকে সুবিধে নিয়ে করছে৷ এটা সবাই বুঝে গিয়েছে৷ এঁদের আর বাজার নেই এখন৷ এরা ভারাটে শিল্পী৷ পয়সার বিনিময়ে অভিনয় করেন৷ এখানেও পয়সার বিনিময়ে অভিনয় করছেন৷ সেই কারণেই এঁদের সমাজে কোনও দাম নেই৷” এই রকম আক্রমণে রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছেন সবাই। এর আগেও নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই বারবার সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিদের এহেন আক্রমণ ভালো দেখছেন না অনেকেই।