গত রবিবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহীদ স্মরণসভা থেকে ফেরার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল মহম্মদ আহিরের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মৃত যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের কর্মীরাই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে মহম্মদ আহির বাড়িতে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সামান্য সাহায্য দিয়ে এসেছিলেন মৃতের পরিবারকে। বুধবার মৃতের বাড়িতে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। মৃত ওই যুবকের বাবার হাতে তিন লক্ষ টাকা তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি ওই পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও বলেন।
এদিন মৃতের বাবার হাতে সাহায্য তুলে দিয়ে মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মৃতের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের এক সদস্যকে যাতে কাজ দেওয়া যায়, সে বিষয়ে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে”। তৃণমূলের কর্মী ওই যুবক দলের প্রতিটি কর্মসূচিতেই অংশ নিতেন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা তথা পুরুলিয়া পুরসভার কাউন্সিলর সোহেল দাদ খান। মৃতের বাবা মহম্মদ জাকির পেশায় সাইকেল দোকানের মিস্ত্রি। তিনি বলেন, “মন্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসে বলে গিয়েছেন দল পাশে আছে। টাকা দেওয়ার পাশাপাশি চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন”।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই রবিবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসে এসেছিলেন মহম্মদ আহির। পুরুলিয়া ফেরার পথে বাঁকুড়ার ওন্দা স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পুরুলিয়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। সেই খবর পেয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই খবর পৌঁছে যায় পুরুলিয়ার জেলা পর্যবেক্ষকের কাছে। তিনি বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানান। তার পরই দলের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য নিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।