কেন্দ্রের মোদী সরকার দেশের শিক্ষা নিয়ে কতটা চিন্তিত সেটাই প্রতিফলিত হয় দেশের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির অবস্থা দেখে। দেশের ২০টির বেশি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় অবস্থা বিপজ্জনক।কিন্তু সেখানেই পড়ে হাজার হাজার ছেলে–মেয়ে। অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলির একই অবস্থা বলে জানা গিয়েছে। অডিট রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। আর সেই রিপোর্ট মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে পাঠিয়ে দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রককে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে স্কুলগুলিকে বন্ধ করে দিতে। কারণ বেশিরভাগ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বহু দশক পুরনো। মহারাষ্ট্রের ৮টি এবং অসমের তিনটি এই বিপজ্জনক তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রের তিনটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ১৯৬০ সালে নির্মিত। শুধু তাই নয় উত্তরপ্রদেশের এবং গুজরাটের দুটি করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বিপজ্জনক বলে খবর।
এছাড়া ত্রিপুরা, মেঘালয়, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ এবং সিকিমের ১টি করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় বিপজ্জনক তালিকায় স্থান পেয়েছে। যা সত্যিই চিন্তার বিষয়ও বটে। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন টেকনিক্যাল অডিট করায় আইআইটি, এনআইটি এবং সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে দিয়ে। ১০ বছরের পুরনো বিদ্যালয় ভবনগুলির ওপর অডিট করা হয়। সেখানে থেকেই এই রিপোর্ট সামনে এসেছে।
মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, অডিট রিপোর্টে ২১টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়কে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ২১টির মধ্যে ১৮টি আংশিক বিপজ্জনক। আর বাকি তিনটি একেবারে বিপজ্জনক। এই তিনটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় অবশ্য মহারাষ্ট্রে এবং গুজরাটে। দেশে মোট ২৬০টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় আছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই বেশ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার।