যে কোনও দুর্নীতি-অনিয়ম মানেই তার সঙ্গে নিশ্চিত ভাবে যুক্ত থাকবে বিজেপি। এমনিতেই সারা বছর সন্ত্রাসের আবহ জারি রাখার ক্ষেত্রে নাম জড়িয়ে থাকে বিজেপির। এবার বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার হলেন এক বিজেপি কর্মী। গতকাল দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছে ৫০টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয় মিলেছে দুটি লং রেঞ্জের দো-নলা বন্দুকও। কার্তুজগুলির মধ্যে ১২ বোরের এবং ৮ মিলিমিটারে কার্তুজ রয়েছে।
রবিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম বাসুদেব কয়াল। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই গতকাল দুপুরে জনগরের বেলে দুর্গানগর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ বাসুদেব কয়ালকে গ্রেফতার করে বকুল থানার পুলিশ। বিজেপি নেতার কাছে এত আগ্নেয়াস্ত্র দেখে পুলিশেরও চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়। এই অস্ত্র মজুতের কারণ সম্পর্কে বাসুদেব কয়াল পুলিশকে জানিয়েছেন, এলাকার একটি জায়গার দখল নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের বিবাদ শুরু হয়েছে। সেই বিবাদ সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে এবং সে কারণেই ওই আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হচ্ছিল। স্থানীয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সত্যজিত্ কয়াল-সহ রূপনগরের দুই বিজেপি কর্মী বাবলু ও পরেশ তাঁকে দিয়ে এই আগ্নেয়াস্ত্র আনিয়েছেন বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের ব্যাপারে বাসুদেবের বয়ান শুনে পুলিশ নিশ্চিত যে, এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিজেপির জোর সংঘর্ষ বাধাতে চলেছে। যদিও বাসুদেব যাঁদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র আনার অভিযোগ তুলেছেন, তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে তদন্ত শুরু করেছে বকুল থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখছে। বাসুদেবের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে বলে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।