আগে দশ জনের টিমে যেখানে অর্ধেকের বেশি থাকতেন বাংলার, এখন সেখানে মাত্র দু’জন। ভারতীয় সিনিয়র টিটি টিমে বাঙালি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। কটকে চলছে কমনওয়েলথ টিটি চ্যাম্পিয়নশিপ। দলগত পর্যায়ের ছেলে ও মেয়ে দুই বিভাগেই ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই সোনা জয়ে বাঙালি দু’জন সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় ও ঐহিকা মুখোপাধ্যায়।
পৌলমী ঘটক, মৌমা দাসের পর এখন সুতীর্থার দিকেই বাঙালি টিটি মহল তাকিয়ে আছে। পরের বছর টোকিও অলিম্পিকে সুতীর্থা দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। কারণ তিনি এখন দেশের দু’নম্বর খেলোয়াড়। প্রি অলিম্পিকে সুযোগ তিনি পাবেন তা নিশ্চিত। তবে সেই ধাপ পেরিয়ে টোকিওর টিকিট পেতে তাঁকে আন্তর্জাতকি র্যাঙ্কিং বাড়াতে হবে।
সুতীর্থা যদি আগামী দিনে অলিম্পিকের ছাড়পত্র পান, সেটা ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসে ঘুরে দাঁড়ানোর বড় অধ্যায় হয়ে উঠবে। কারণ কাঁকিনাড়ার মেয়ে সুতীর্থাকে এত কঠিন পথ পেরোতে হয়েছে, যা অনেক ক্রীড়াবিদকেই পেরোতে হয়নি। চার বছর আগে দেশের এক নম্বর থাকা অবস্থাতেই তাঁকে দু’মরসুমের জন্য সাসপেন্ড হতে হয়েছিল বয়স বাড়ানোর অভিযোগে। জীবনের সেরা সময়ে প্রায় দেড় বছর নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও সুতীর্থা থমকে যাননি। বরং শূন্য থেকে ফের শুরু করে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়ে গত দু’বছর ধরে রয়েছেন দেশের প্রথম চার জনের মধ্যে।
নিজের এই সাফল্যের, ঘুরে দাঁড়ানোর সব কৃতিত্বই সুতীর্থা দিচ্ছেন তাঁর মা নীতা মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর কথায়, “মায়ের হাত ধরেই আমার টেবল টেনিস বোর্ডে দাঁড়ানোর সুযোগ পাওয়া। আর তারপর মায়ের সঙ্গেই আজও আমি দেশের সব টুর্নামেন্টে যাই। মা পাশে থাকা মানে বাড়তি শক্তি, বাড়তি প্রেরণা পাওয়া”।