দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই মোদী সরকারের একাধিক ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত নিয়ে রে রে করে উঠছে বিরোধীরা। যার ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েও বারবারই সংসদে কোণঠাসা হয়ে পড়তে হচ্ছে পদ্মশিবিরকে। গতকাল সকাল থেকেই যেমন কর্ণাটক বিধানসভা ইস্যু থেকে সংসদে কেন্দ্রের আনা তথ্য জানার অধিকার আইনে সংশোধন, লোকসভায় দফায় দফায় চলল বিরোধীদের প্রতিবাদ, স্লোগান, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, ওয়াক আউট। প্রতিবাদে সামিল হল তৃণমূল, কংগ্রেস, এনসিপি, সপা, বসপা, ডিএমকে’র মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
বিরোধীদের অভিযোগ, কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারকে বিজেপি ভেঙে দেওয়ার যে পরিকল্পনা করেছে, তাতে ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামো নষ্ট হচ্ছে। সভার সব কাজ ফেলে এ বিষয়ে তাই আলোচনার দাবি তুলে মুলতুবি প্রস্তাব দেয় কংগ্রেস। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা তাতে অনুমোদন দেননি। এর ফলেই স্পিকারের আসনের সামনে ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সাংসদরা। স্লোগান তোলেন বিচার চাই। গণতন্ত্র বাঁচাও। যদিও স্পিকার তা বেশিক্ষণ চলতে দেননি। প্রশ্নোত্তর পর্বের পর এ বিষয়ে বলতে দেব বলে আশ্বাস দিতেই নিজের আসনে ফিরে যান কংগ্রেস সাংসদরা।
তবে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর্ণাটক ইস্যুতে বলার জন্য হল্লা শুরু করেন তাঁরা। কংগ্রেসের তরফে স্পিকারকে বলা হয়, আপনিই বলেছিলেন প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হলেই বলতে দেবেন। তাহলে কথা রাখছেন না কেন? বলতে দিন। গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। স্পিকারও জানিয়ে দেন, আগে সরকারি কার্যপ্রণালী শেষ হোক। তাছাড়া কোনও রাজ্যের বিধানসভায় কী হচ্ছে সেই বিষয় এখানে তোলা ঠিক নয়। তাও একটি গণতান্ত্রিক পদের (কর্ণাটক বিধানসভার স্পিকার) বিরুদ্ধে। এরপরে কংগ্রেসের তরফে আরও কিছু বলতে যাওয়া হলেই মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার। যার প্রতিবাদে ওয়াক আউট করে তারা।
একইভাবে ‘দ্য রাইট টু ইনফরমেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০১৯’ পেশের সময়ই প্রতিবাদে সরব হয় বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং তথ্য কমিশনারদের চাকরির মেয়াদ পাঁচ বছর অথবা তাঁদের ৬৫ বছরে অবসরের যে নিয়ম রয়েছে, তার সংশোধন করে সরকার সিদ্ধান্ত করবে বলে আইনে সংশোধনী আনতেই বিল আনা হয়েছে। কিন্তু সময় মতো সাংসদদের বিলের কপি না দিয়ে লোকসভার নিয়ম ভেঙে এই সংশোধনী বিল আনার প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল। দলের তরফে সৌগত রায় বলেন, এই বিল পাশ হলে তো সরকার যখন চাইবে যাঁকে চাইবে তাঁকে নিয়োগ করবে।