রাজ্যপাল নিয়োগের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সরকারিভাবে আগাম জানায় কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এটাই দীর্ঘ দিনের রীতি। কিন্তু বাংলার নয়া রাজ্যপাল জগদীপ ধানকরকে নিয়োগের আগে রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছিল। জানানো তো দূরের কথা।
![মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই রাজ্যপাল নিয়োগ, পরে ফোন – যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর শর্ত ভঙ্গ মোদী সরকারের, ইঙ্গিত মমতার 3 WhatsApp Image 2019 07 20 at 3.50.13 PM1](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/07/WhatsApp-Image-2019-07-20-at-3.50.13-PM1-1024x731.jpeg)
শনিবার নম্রভাবে হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন বাংলার রাজ্যপাল নিয়োগ নিয়ে সমন্বয়মূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার শর্ত লঙ্ঘন করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এ জন্য টুইটকেই হাতিয়ার করেছেন তৃণমূল নেত্রী। বিকেল নাগাদ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দুটি টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘শ্রী জগদীপ ধানকারকে বাংলার নতুন রাজ্যপাল হিসেবে স্বাগত জানাই। আমি সংবাদমাধ্যম থেকে এইমাত্র খবর পেলাম। ওনাকে আমাদের সুন্দর রাজ্যে স্বাগত জানাই।‘এর প্রায় ১৮ মিনিট পর দ্বিতীয় টুইটটি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আবার লেখেন, ‘বাংলার নতুন রাজ্যপাল নিয়োগ সমন্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে এইমাত্র কথা হল। আমি ওনাকে জানিয়েছি যে আমি ইতিমধ্যেই নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানিয়েছি’।
মুখ্যমন্ত্রীর এই টুইট বার্তার অর্থ খুবই পরিষ্কার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নতুন রাজ্যপাল নিয়োগের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আগাম কোনও আলোচনা করেনি। তিনি সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন। অমিত শাহ তাঁকে ফোন করেছেন তার পর। ততক্ষণে নতুন রাজ্যপালকে স্বাগত জানানোও হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
![মুখ্যমন্ত্রীকে না জানিয়েই রাজ্যপাল নিয়োগ, পরে ফোন – যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর শর্ত ভঙ্গ মোদী সরকারের, ইঙ্গিত মমতার 4 WhatsApp Image 2019 07 20 at 3.50.13 PM](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/07/WhatsApp-Image-2019-07-20-at-3.50.13-PM-1024x740.jpeg)
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কঠোর ভাষা প্রয়োগ না করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দিক থেকে সৌজন্যের ত্রুটি হয়নি। তাই ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী’ তাঁকে ফোন করলে তিনি কথাও বলেছেন। একইসঙ্গে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভঙ্গের যে অভিযোগ বিরোধীরা বারবার করছেন, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।