যোগী রাজ্যে গতকাল থেকে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘিরে উত্তাল হয়ে আছে। সোনভদ্রে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে অনুমতি দেয়নি উত্তরপ্রদেশ সরকার। আর তাই নিয়েই চলছে চাপানোতর। বাধার মুখে পড়েও ফিরে যাননি প্রিয়াঙ্কা। চুনার দুর্গে রাত কাটিয়ে ফের শনিবার সকালে নিহত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেখানেও মেলেনি অনুমতি। তাই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য তিনি ক্ষোভ উগরে দেন যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। প্রিয়ঙ্কার বলেন, “জানি না এদের কী মানসিকতা।”
শুক্রবার মধ্য রাতে চুনার দুর্গে প্রিয়াঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে দেখা করতে যান বারাণসী পুলিশের এডিজি ব্রজ ভূষণ এবং এক শীর্ষ সরকারি আধিকারিক। সূত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তাঁরা। সোনভদ্র ছাড়ার পরামর্শও দেন। ঘণ্টা খানেক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠক করে রাত সওয়া ১টা নাগাদ চুনার দুর্গ ছাড়েন উত্তরপ্রদেশ সরকারের ওই দুই আধিকারিক। সেই বৈঠকে কোনও সুরাহা হয়নি। যোগীর সরকারকে প্রিয়ঙ্কা সাফ জানিয়ে দেন, যত ক্ষণ না নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, চুনার দুর্গ থেকে এক পা-ও নড়বেন না তিনি। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি টুইট করে জানান, ‘উত্তরপ্রদেশ সরকার বারাণসীর এডিজি ব্রজ ভূষণ, কমিশনার দীপক অগ্রবাল এবং মির্জাপুরের ডিআইজি-কে আমার কাছে পাঠায়। নিহতদের পরিবারগুলোর সঙ্গে দেখা না করে সোনভদ্র ছাড়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা বসেছিলেন ওই আধিকারিকরা।’ তিনি আরও জানান, ‘কেন আমাকে হেফাজতে নেওয়া হল, তার সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ রাজ্য সরকারের পাঠানো আধিকারিকরা দেখাতে পারেননি। শুধু তাই নয়, এ সংক্রান্ত কোনও নথিও দিতে পারেননি তাঁরা।’ চুনার দুর্গে রাতের একটি ভিডিয়োও টুইট করেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “সোনভদ্র হত্যাকাণ্ড রুখতে ব্যর্থ উত্তরপ্রদেশ সরকার। পুরোপুরি বেআইনি ভাবে প্রিয়াঙ্কাজিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের বিজেপি সরকার।” অন্যদিকে, প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে চুনার দুর্গের সামনে হাজির হন নিহতদের কয়েকটি পরিবার। তাঁদের সঙ্গে অবশ্য দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কাকে। প্রিয় নেত্রীকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রিয়াঙ্কা।