বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না যোগী রাজ্যের। একের পর এক ইস্যু নিয়ে প্রায় রোজই সংবাদের শিরোনামে থাকছে উত্তরপ্রদেশ। এবার সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সদ্য প্রকাশিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নতুন রিপোর্টে জানা গেছে, যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশেই দলিত ও সংখ্যালঘু হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত তিন বছরে (২০১৬–২০১৯, মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে দলিত ও সংখ্যালঘুদের হেনস্থার ঘটনার মোট ২০০৮টি অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে ৮৬৯টি অভিযোগই এসেছে যোগীর রাজ্য থেকে। গোটা দেশে যত দলিত ও সংখ্যালঘুদের হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৪৩ শতাংশ ঘটনাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। শুধু তাই নয়, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, গোটা দেশে সংখ্যালঘুদের তুলনায় দলিত হেনস্থার ঘটনা গত তিন বছরে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছরেই এখনও পর্যন্ত দলিত হেনস্থার ৯৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে মানবাধিকার কমিশনের কাছে।
রিপোর্ট থেকে এ কথাও জানা গেছে যে, ৬৪ শতাংশ দলিত ও সংখ্যালঘু হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে দেশের হিন্দিভাষী অঞ্চলগুলিতে (উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহার, হরিয়ানা ও মধ্যপ্রদেশ)। তার সঙ্গে দিল্লী, গুজরাত ও উত্তরাখন্ড যোগ করলে হিসাবটা দাঁড়ায় ৭৫ শতাংশ। পাশাপাশি সারা দেশের বিচারে দক্ষিণ ভারতের ৫টি রাজ্য– তামিলনাড়ু, কেরালা, তেলঙ্গনা, কর্ণাটক ও অন্ধ্রপ্রদেশে দলিত ও সংখ্যালঘু হেনস্থার ঘটনা ঘটেছে ৯.৫ শতাংশ। বরং বাংলা-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে মাত্র ৫.১৭ শতাংশ। এবার ফের যোগী রাজ্যে প্রশাসনের কঙ্কালসার অবস্থা সামনে চলে আসায় বিপাকে পড়েছে গেরুয়া শিবির।