আটকে দেওয়া হল তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা প্রধান জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের সাংসদীয় প্রতিনিধি দলকে। উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রে যেখানে গুলি করে ১০ কৃষককে মারা হয়েছে সেখানে যাবার ঘোষণা করেছিলেন শুক্রবারই। কিন্তু শনিবার কোনও আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে বারাণসী বিমানবন্দরেই ডেরেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে আটকে দেয় যোগী রাজ্যের পুলিশ।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ ডেরেক বারাণসী বিমানবন্দর থেকেই একটি টুইট করেন। সেখানে যোগী প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের বারাণসী এয়ারপোর্টে আটকে রেখেছে। কেন আটকে রেখেছে জানি না’। ওই টুইটে ডেরেক ওব্রায়েন লিখেছেন, ‘তৃণমূলের সংসদীয় দলকে বারাণসী বিমান বন্দরে আটকে রাখা হয়েছে। আমি এডিএম এবং এসপিকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আইনের কোন ধারায় আমাদের আটকাচ্ছেন? তাঁরা বললেন, ওপরমহল থেকে আমাদের কাছে এমনই নির্দেশ আছে।ওদের বলেছিলাম যে আমরা সবরকম সহযোগিতা করব। জানিয়েছিলাম যে আমরা আহতদের সঙ্গে দেখা করতে চাই এবং তারপর সোনভদ্রে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে চাই’। কিন্তু যোগীর পুলিশ সেসবে কর্ণপাত করেনি। প্রতিবাদে বিমানবন্দরেই ধর্নায় বসে যান ডেরেকের নেতৃত্বাধীন ৩ সাংসদের প্রতিনিধি দল।
প্রসঙ্গত, জমি দখলকে কেন্দ্র করে আদিবাসীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মোট ১০ জনকে খুন করা হয় বুধবার। সেই ঘটনার পর থেকেই থমথমে উত্তর প্রদেশের সোনভদ্রের উভা গ্রাম। সোনভদ্রের ঘটনা নিয়ে যোগী সরকারের তীব্র সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। শুক্রবার লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। সোনভদ্রের ঘটনাস্থলে দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করে তৃণমূল। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বারাণসী বিমানবন্দরে পৌঁছোয়। বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময়ই তাঁদের আটক করে স্থানীয় প্রশাসন।