অবশেষে যেন পরিপূর্ণতা লাভ করল আইসিসির ‘হল অব ফেম’। সেই ফেমে বিশ্বের তাবড় তাবড় খেলোয়াড়দের নাম থাকলেও, বাদ ছিলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। এবার সেখানে জায়গা পেলেন তিনি। পেলেন নিজের প্রাপ্য সম্মান। একই সঙ্গে তাঁর মুকুটে জুড়ল আরও একটি পালক। আইসিসির হল অফ ফেমে যুক্ত হল মাস্টার ব্লাস্টারের নাম। তাঁর সঙ্গেই হল অফ ফেম-এ জায়গা পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার অ্যালান ডোনাল্ড এবং বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের ক্যাপ্টেন ক্যাথরিন ফিজপ্যাট্রিকও।
হল অফ ফেমে-এর নিয়ম অনুযায়ী, অবসর নেওয়ার অন্তত পাঁচ বছর পর এই সম্মান দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন শচীন। ২০১৮ সালে সেই সময় পার হয়েছে। এ বার তাঁকে এইচএফ-এ যোগ হল শচীনের নাম।
এর আগে ভারতের পাঁচ ক্রিকেটার জায়গা পেয়েছিলেন হল অফ ফেম-এ। বিষেণ সিং বেদী, কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার, অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়। গত বছর হল অফ ফেম-এ জায়গা পেয়েছিলেন দ্রাবিড়। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন শচীন তেণ্ডুলকর। আইসিসির হল অফ ফেম-এ এবার যুক্ত হলেন ক্রিকেট ঈশ্বর। ষষ্ঠ ভারতীয় তারকা হিসেবে এই বিরল সম্মান পেলেন তিনি। টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেট মিলিয়ে এখনও এক নম্বর তিনি। স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে যাঁর নাম একই সঙ্গে উচ্চারিত হয়। অন্যদিকে ডোনাল্ড বলেছেন, “আমার নাম শচীনের পাশে দেখে নিজেকে বেশি সম্মানিত মনে হচ্ছে।”
রবিবার স্ত্রী অঞ্জলি তেণ্ডুলকরকে সঙ্গে নিয়ে আইসিসির পুরস্কারের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর পাশাপাশি আইসিসি হল অফ ফেম-এ জায়গা পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেস কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড। এছাড়াও দুবার বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দলের সদস্য হিসেবে এই সম্মান পেলেন ক্যাথরিন ফিটজপ্যাট্রিকও। রবিবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থার তরফে এই সম্মান পাওয়ার পর আপ্লুত শচীন বলেন, “এটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের ব্যাপার।”
টুইটারে এখবর পোস্ট করে আইসিসি লেখে, “ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্ট ও ওয়ানডে-তে সর্বোচ্চ রানের মালিক। একশোটি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। ‘কিংবদন্তি’ শব্দটা দিয়েও তাঁকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় না। এবার আইসিসি হল অফ ফেম-এ ঢুকে পড়লেন তিনি।” শচীনকে এমন সম্মানে ভূষিত করায় আইসিসিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা।