সারদা মামলায় অন্যায় ভাবে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করতে হাত ধুয়ে লেগে পড়েছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টে এমনই অভিযোগ তুললেন রাজীব কুমারের আইনজীবী। অভিযোগ, সারদা মামলার চার্জশিটে রাজীব কুমারের নাম নেই অথচ ৫ বছর পর হঠাৎ করে তাঁর পিছনে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজীবের আইনজীবীর এমন অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশে আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত স্বস্তিতে রয়েছেন রাজীব। ওই সময়কালের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এই মামলার শুনানিতে রাজীবের আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, সারদা কাণ্ডের তদন্তে গঠিত সিট (যার মাথায় ছিলেন রাজীব কুমার) ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে সিবিআইকে সমস্ত নথি হস্তান্তর করেছিল। এরপর থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ টি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। তবে সেখানে কোনও জায়গায় রাজীবের নাম নেই। কিন্তু ২০১৯ সালে হঠাৎ করে রাজীবের পিছনে পড়েছে সিবিআই। উদ্দেশ্য তাঁকে গ্রেফতার। একইসঙ্গে সিটে রাজীবের মাথার উপরে আরও ২ জন অফিসার ছিলেন তাঁদের একবারের জন্যও তলব করেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের নামে হেনস্থা করা হচ্ছে রাজীব কুমারকে।
একইসঙ্গে ২২ জুলাই তাঁর গ্রেফতারির উপর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর নতুন করে তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক এমন দাবি জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। আইনজীবীর কথায়, আইন মোতাবেক যে কোনও সাক্ষী আদালতের সুরক্ষা পেতেই পারেন। তা ছাড়া রাজীব তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছেন। তবে আলাদাভাবে তাঁকে জেলে পুরে জিজ্ঞাসাবাদের কী প্রয়োজন। অযথা কালি মাখানো হচ্ছে একজন সরকারী আধিকারিকের গায়ে।